মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

কল্পনা চাকমা অপহরণে জড়িত দোষীদের শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ


সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৫ জানুয়ারি ২০১৩, মঙ্গলবার
কল্পনা চাকমার প্রকৃত অপহরণকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম(ডিওয়াইএফ) আজ ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেবিক্ষোভ মিছিলটি নিউ মার্কেটের দোস্ত বিল্ডিঙ এলাকা থেকে শুরু হয়ে কোতোয়ালী ঘুরে শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিওয়াইএফ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জিকো মারমাসভায় বক্তব্য রাখেন হিল উইমন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান, পিসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য রুপন মারমা, পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায় সিমন চাকমা, পিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সুকৃতি চাকমা
সভা পরিচালনা করেন ডিওয়াইএফ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সভাপতি সুমন চাকমা

নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বলেন, তদন্ত ও বিচারের নামে কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের রা করার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেএই ধরনের ষড়যন্ত্র করে দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা শুভ হবেনা বলে নেতৃবৃন্দ সমাবেশ থেকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেনঅপহরণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ থাকার পরও দোষীকে বাঁচানো জন্য সরকারী তৎপরতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাসে অভূতপূর্ব ঘটনা উল্লেখ করে বক্তাগণ এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশের সকল সচেতন মহলের প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানানঅপহরণকারী লেঃ ফেরদৌস সহ প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে তিন সংগঠন দেশের সকল সচেতন জনগণকে সাথে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে জোরদার কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ সমাবেশ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন

উল্লেখ্য, কল্পনা চাকমা রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিউলাল্যাঘোনা থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অপহৃত হনপরে দেশ ও বিদেশের জনমত ও আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার বিচারপতি আব্দুল জলিলকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়একই সাথে সরকার পুলিশ বিভাগের মাধ্যমেও তদন্ত চালায়সর্বমোট ৩৩ জন কর্মকর্তা তদন্ত কার্যের দায়িত্ব পেলেও তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হনকিন্তু কল্পনা অপহরনের ৩৪তম আইও বা তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফারুক আহম্মদ অপহরনের সাথে জড়িত প্রকৃত দোষী সেনা অফিসার লেঃ ফেরদৌস, সালেহ আহম্মদ, ভিডিপি সদস্য নুরল হকের নাম উল্লেখ না করে ২০১০ সালের ২১ চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেনবাদী কালিন্দী কুমার চাকমা না-রাজি আবেদন জানানবিচারক সিআইডির মাধ্যমে পুনর্বার তদন্তের নির্দেশ দিলে সিআইডি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেনকিন্তু উক্ত তদন্ত রিপোর্টেও প্রকৃত দোষীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি বরং উক্ত তদন্ত রিপোর্টে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে কল্পনা অপহরনের সাথে জড়িতদের রার চেষ্টা করা হয়

সর্বশেষ এই বছর ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি সিআইডি প্রতিবেদনের উপর চূড়ান্ত শুনানীর দিন ধার্য করা হলে রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী ১৬ জানুয়ারি নতুন করে মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেন