সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৬ জানুয়ারি ২০১৩, বুধবার
রাঙামাটি জেলার সদর উপজেলাধীন বন্দুকভাঙা
ইউনিয়নের মাচ্যা পাড়া ও অঘোইছড়া গ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি
বাড়িতে তল্লাশি চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে নান্যাচর সেনা জোনের টুআইসি মেজর মো: তামিম
হোসেন ও জোন এনসিও সার্জেন্ট মো: শাহাদাত-এর নেতৃত্বে নান্যাচর জোন ও খারিক্ষ্যং সেনা
ক্যাম্প থেকে ৫০/৬০ জনের একদল সেনা বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের মাচ্যা পাড়া ও অঘোইছড়া গ্রামে
অপারেশনে যায়। সেনারা সেখানে সারারাত অবস্থান করে পরদিন অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি
সকালে সন্ত্রাসী খোঁজার নামে বাড়িঘরে তল্লাশি চালায়। যাদের বাড়িঘরে তল্লাশি
চালানো হয় তারা হলেন- অঘোইছড়া গ্রামের ১. সুনীল চাকমা, পিতা: অঘোইমনি চাকমা, ২. মানেক ধন চাকমা, পিতা-তিলক চাকমা, ৩. চন্দ্র হংস চাকমা, পিতা-মৃত ছাড়াধন চাকমা ও নয়ান চাকমা, পিতা- ছাড়াধন চাকমা।
সেনারা মাচ্যা পাড়ার নাগরচান চাকমার ছেলে
জ্ঞানেন্দু চাকমার দোকানেও ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে দোকানের জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। এছাড়া সেনারা পথে যাকে
নাগাল পেয়েছে তাকে বডি চেক করে হয়রানি করেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে আরও জানা গেছে, সেনাদের সাথে মুখোশপরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক ছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে
তারা চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন সন্তু গ্রুপের সদস্য সুখময় চাকমা(সুজন), পিতা আল্যামনি চাকমা, গ্রাম- রূপবান, বরকল,
২. ভালুক্যা চাকমা, পিতা ধনুদ্ধর চাকমা, গ্রাম- সাক্কারা ছড়ি, রাঙামাটি সদর ও নান্যাচর উপজেলার সাব্যেং ইউনিয়নের কুখ্যাত আর্মি
স্পাই সিদ্ধার্থ চাকমা।
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)
রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এক বিবৃতিতে রাঙামাটি সেনা তল্লাশির নিন্দা
ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে বাড়িঘর তল্লাশীর নামে
নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ এবং তল্লাশীর সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের শাস্তির
প্রদানের দাবি জানান।#