সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৭ জানুয়ারি ২০১৩,
বৃহস্পতিবার
রাঙামাটি পুলিশ সুপারকে(এসপি) দিয়ে হিল উইমেন্স
ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আজ ১৭
জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ
ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন গুইমারায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গুইমারা হাসপাতাল
গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে গুইমারা বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার হাসপাতাল গেটে
এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আপ্রুসি মারমা, মাটিরাঙ্গা কলেজ শাখার সভাপতি প্রবীর ত্রিপুরা ও হিল উইমেন্স
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য নন্দা চাকমা।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ষোল বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও পুলিশ কল্পনা চাকমার কোন সন্ধান
দিতে পারেনি এবং অপহরণকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি। আদালত কর্তৃক আবারো
পুলিশ সুপারকে দিয়ে পুনঃতদন্তের আদশ অপরাধীদের রক্ষার্থে কালক্ষেপন ছাড়া আর কিছুই নয়।
বক্তারা অবিলম্বে কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারী
লেঃ ফেরদৌস, নুরুল হক ও সালেহ আহম্মদ সহ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার
ও শাস্তি এবং নিরপে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, কল্পনা চাকমা রাঙামাটির
বাঘাইছড়ির নিউলাল্যাঘোনা থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অপহৃত হন। পরে দেশ ও বিদেশের
জনমত ও আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার বিচারপতি আব্দুল জলিলকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত
কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়। একই সাথে সরকার পুলিশ বিভাগের মাধ্যমেও তদন্ত চালায়। সর্বমোট ৩৩ জন কর্মকর্তা
তদন্ত কার্যের দায়িত্ব পেলেও তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু কল্পনা অপহরনের
৩৪তম আইও বা তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফারুক আহম্মদ অপহরনের সাথে জড়িত প্রকৃত দোষী সেনা
অফিসার লেঃ ফেরদৌস, সালেহ আহম্মদ, ভিডিপি সদস্য নুরল
হকের নাম উল্লেখ না করে ২০১০ সালের ২১ চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। বাদী কালিন্দী কুমার
চাকমা না-রাজি আবেদন জানান। বিচারক সিআইডির মাধ্যমে পুনর্বার তদন্তের নির্দেশ দিলে সিআইডি
কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত তদন্ত
রিপোর্টেও প্রকৃত দোষীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি বরং উক্ত তদন্ত রিপোর্টে বিভ্রান্তিমূলক
তথ্য দিয়ে কল্পনা অপহরনের সাথে জড়িতদের রার চেষ্টা করা হয়।
সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি সিআইডির দাখিল করা
চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের উপর দু'দফা শুনানী শেষে রাঙামাটির অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো:
সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী রাঙামাটি পুলিশ সুপারকে(এসপি) দিয়ে পুনঃতদন্তের আদেশ দেন।#