বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

নতুন বছরে পার্বত্য চট্টগ্র্রামের জনগণের মাঝে গড়ে উঠুক ঐক্য, সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্ব

সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১ জানুয়ারি ২০১৪, বুধবার
নতুন বছরের প্রথম সূর্য উদিত হলো নতুন বছরের নতুন দিন আজ মহাকালের চিরন্তন গতি প্রবাহে গত হয়ে গেলো আরো একটি বছর শুরু হলো ইংরেজি নতুন বছর ২০১৪

নতুনের প্রতি মানুষের সব সময় থাকে বিশেষ দৃষ্টি থাকে আগ্রহ থাকে উদ্দীপনা নতুনের মধ্যেই তো নিহিত অমিত সম্ভাবনা আর সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারলেই সার্থকতা লাভ করা যায়। তবে, এবারের নতুন বছর দেশের জন্য বিরোধী দল উপহার দিয়েছে অবরোধের। আর সরকারী দল উপহার দিতে যাচ্ছে একটি একতরফা নির্বাচনের।

এই নতুন বছর পার্বত্য চট্টগ্রামে কেমন যাবে তা বলা যায় না। তবে এটা বলা যায়, এ অঞ্চলের মানুষের সুখে-শান্তিতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ আজো সৃষ্টি হয়নি।

গত বছরের দিকে তাকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা জ্বলজ্বল করে ভেসে ওঠে। তার মধ্যে তাইন্দংয়ে হামলার ঘটনা অন্যতম। সেটলাররা হামলা চালিয়ে জুম্ম গ্রাম জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়েছিলো। এছাড়া রয়েছে সুদীর্ঘ, সমীরণ, পঞ্চসেন ত্রিপুরা সহ অসংখ্য হত্যাকান্ডের ঘটনা।

চির নিপীড়িত একটি অঞ্চলের নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা সবকিছু আজ ভুলুণ্ঠিত। বিশ্বের সকল মানুষের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত-নির্যাতিত, শোষিত-বঞ্ছিত মানুষেরাও চাই নিপীড়ন-নির্যাতন মুক্ত একটি সুন্দর সমাজ ও সুন্দর জীবন-যাপনের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে। কিন্তু সেভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা কোথায়?

পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণও আজ বহুধাবিভক্ত। জাতীয় ঐক্য-সংহতি বিনষ্ট হয়ে নিজেদের মধ্যে চলছে সংঘাত-সংঘর্ষ। এ অবস্থা আর বেশিদিন চলতে দেয়া যায় না। এখন প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য-সংহতি জোরদার করা।


নতুন বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য-সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠুক, সকলের মনে জাগরিত হোক জাতীয় চেতনাবোধ এটাই প্রত্যাশা। ২০১৪ সাল সকলের জীবন হয়ে উঠুক সুন্দর ও মঙ্গলময়। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।