গত ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। জুম্ম পিপল্স নেটওয়ার্কের সদস্যরা ছাড়াও সোসালিস্ট পার্টি অব কোরিয়া, বুড্ডিস্ট সলিডারিটি ফর রিফর্ম ও পিএনএএন নামে একটি এনজিওর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। এছাড়া মিডিয়ার লোকজনও এতে উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভেরর সময় জেপিএনকে'র সদস্য ও তাদের কোরীয় সমর্থকরা রামগড় হামলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত মানবাধিকার লক্সঘনের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
সংবাদ সম্মেলন নাম দিয়ে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে সোসালিস্ট পার্টি অব কোরিয়ার সাবেক সভাপতি চো কোয়ান ইয়ুন (Cho Kwang Eun) রামগড় হামলাকে ঘৃন্য বলে অভিহিত করেন৷ তিনি বলেন এ ঘটনাটি এমন সময় ঘটানো হয়েছে যখন পাহাড়িরা তাদের প্রধান সামাজিক উত্সব বৈসাবি'র আমেজে ছিলেন।
এক পর্যায়ে বাংলাদেশ এ্যম্বেসির এক স্টাফ মাইকের সাউন্ড কমানোর অনুরোধ করলে পিএনএএন-এর প্রধান হোটায়েগ লি তার উদ্দেশ্যে বলেন, "লাউড স্পিকারের উত্পাত সহ্য করতে হবে, কারণ জুম্ম জনগণের অধিকার অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ৷" তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবিলম্বে মানবাধিকার বন্ধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
জেপিএন-কে-র সাধারণ সম্পাদক ছোটো চাকমা ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমার উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি শান্তি জীবন চাকমা ও অর্থ সম্পাদক প্রজ্ঞা দ্বীপ চাকমা। এছাড়া প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেপিএনকে-র সহসভাপতি সুগত নন্দ চাকমা।
সমাবেশ শেষে জেপিএনকে-র প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ এ্যম্বেসি কর্তৃপক্ষের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। এতে রামগড় ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচার, জুম্ম জনগণের ওপর হামলা বন্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী ও সেটলারদের প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রদানের দাবি জানানো হয়। ইউপিডিএফ-এর প্রেস সেকশানের দায়িত্বরত নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।