রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১১

রামগড়ে জমি দখলের অংশ হিসেবে সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন : ইউপিডিএফ-এর নিন্দা ও প্রতিবাদ

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের উত্তর শণখোলা পাড়া ও রেয়ো মরং পাড়ায় সেটলাররা পাহাড়িদের কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। উক্ত এলাকায় ৫০ একরের মতো জমি জবরদখল করাই ছিল এই হামলার উদ্দেশ্য

আজ ১৭ এপ্রিল, রবিবার জালিয়া পাড়ার বড় পিলাক থেকে ৪০/৫০ জনের একদল সেটলার শণখোলা পাড়ায় গিয়ে সকাল থেকে পাহাড়িদের জমিতে জঙ্গল পরিষ্কার করে সঙ্গে সঙ্গে কলা চারা রোপন করতে থাকে। পরে স্থানীয় মারমারা তাদের বাধা দিলে সেটলাররা তাদের ওপর হামলা চালায়পাহাড়ি গ্রামবাসীরাও আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়

পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো সেটলার যোগ হলে পাহাড়িরা সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সেটলাররা উক্ত দুই গ্রামের বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এতে কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়

সেটলাররা বহু আগে থেকে উক্ত জমি বেদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইতিমধ্যে তারা শণখোলা পাড়ার অর্ধেক জমি ছলে বলে কৌশলে বেদখল করে নিয়েছেএখন বাকি জমিও জোরপূর্বক কেড়ে নিতে চাইছে

মাত্র কয়েকদিন আগে, গত ১৪ এপ্রিল বৈসাবি উত্‍সবের সুযোগ নিয়ে সেটলাররা উক্ত জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে জঙ্গল কাটতে গিয়েছিল। সে সময় রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংশাপ্রু চৌধুরী, হাফছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয় কিন্তু এরপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটলারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংগ্য মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কণিকা দেওয়ান এক যুক্তি বিবৃতিতে রামগড়ে পাহাড়িদের গ্রামে হামলা, গ্নিসংযোগ ও ভূমি বেদখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন

বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে হামলাকারী ভূমি দসু্যদের গ্রেফতার করে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান, তিগ্রস্তদের যথোপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং ভূমি বেদখল বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা বলেন, অবিলম্বে ভূমি বেদখল বন্ধ করা না হলে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে