রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়িতে সন্ত্রাসী কর্তৃক ২ ব্যক্তি অপহরণ ও ৭ নিরীহ গ্রামবাসীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ২১ মার্চ, সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার সময় জেএসএস সন্তু গ্রুপের প্রমেশ চাকমার নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী কাঙারাছড়ি গ্রামের কার্বারী নাঙ্গো চাকমা (৫০) পিতার নাম সুরজয় চাকমা ও ভালাছড়ি গ্রামের ধেঙা চাকমা (৩৮) পিতার নাম পুক্কো চাকমা ওরফে বাঙাল্যা নামের ২ ব্যক্তিকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে নাঙ্গো চাকমাকে নিজ বাড়ি থেকে এবং ধেঙা চাকমাকে শামুকছড়ির তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়।
এছাড়া, সন্ত্রাসীরা কেরঙছড়ি গ্রামের বুড়ো চাকমা (১৮) পিতার নাম আনন্দ চাকমা, মুজিব চাকমা (১৯) পিতার নাম হিদিনাথ চাকমা, মদন চাকমা (২০) পিতার নাম টঙ্গী চাকমা, কালায়া চাকমা (২১) পিতার নাম থুদো চাকমা, মরদ ছ' চাকমা (২২) পিতার নাম ভব চাকমা, জটিল চাকমা (২৪) পিতার নাম বীর লাল চাকমা, ভুট্টো চাকমা (১৮) পিতার নাম কামদেব চাকমাকে মারধর করে। এ সময় তারা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। সন্ত্রাসীরা বুড়ো চাকমার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও স্থানীয় দোকানদার রাঙাচিত্তি চাকমার কাছ থেকে ৭,৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তিদেব চাকমা উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে অপহৃত দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য সন্তু গ্রুপের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আদর্শহীন সন্তু গ্রুপ এখন আন্দোলনের দিশা হারিয়ে জাতীয় স্বার্থের জন্য হানিকর ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে। খুন, অপহরণ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিই এখন তার মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই গণবিরোধী সন্তু গ্রুপকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করা আজ প্রত্যেক দেশপ্রেমিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে দেখা দিয়েছে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।