রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১১

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ রাঙামাটি জেলার কুদুকছড়িতে ১৯-২০ মার্চ ২০১১ এ প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মিঠুন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার আহ্বায়ক যুথিকা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ক্যহাচিং মারমা প্রতিনিধি সম্মেলনে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ৭০ জনের অধিক প্রতিনধি ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন

বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলন ধ্বংসের নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে৷ মিছিল-মিটিঙ ও সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখে গণতান্ত্রিক অধিকারকে রুদ্ধ করে রেখেছে ইতিমধ্যে কুদুকছড়িতে অবস্থিত ইউপিডিএফ-এর রাঙামাটি জেলা অফিস, নান্যাচর উপজেলা অফিস ও রাজস্থলীর অফিস তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে প্রশাসনের এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়

বক্তারা অবিলম্বে মিছিল-মিটিঙ ও সভা-সমাবেশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর আহ্বান জানান এছাড়া আঞ্চলিক পরিষদের গদি ছেড়ে জনগণের প্রকৃত মুক্তির আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানান

প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিতি প্রতিনিধিবৃন্দ নিজেদের সাংগঠনিক এলাকার প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিনিধিবৃন্দের বক্তব্যের আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়

প্রতিনিধি সম্মেলন থেকে দেশে বসবাসরত সকল সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টি চলমান সংসদ অধিবেশনে পাশ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়৷ এছাড়া অবিলম্বে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারপূর্বক সেনা শাসনের অবসান, প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ও সেটলার বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত ভূমি বেদখল বন্ধের দাবি জানানো হয়