বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১১

নাড়াইছড়িতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে সেনা তল্লাশি

গতকাল ৯ মার্চ ২০১১, বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নাড়াইছড়িতে পাহাড়িদের বাড়ি-ঘরে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে যাদের বাড়ি-ঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে তারা হলেন, ১. কল্পরঞ্জন চাকমা (৩৫) পিতা- রজনী কুমার চাকমা, গ্রাম: মজলেঙ ছড়া, নাড়াইছড়ি, ২. বিজয়গিরি চাকমা (৪৮) পিতা- মধুচান চাকমা, গ্রাম- নাড়াইছড়ি, ৩. মায়ারাণী চাকমা (৩৫) নাড়াইছড়ি বাজার, ৪. প্রীতি চাকমা (৩৫) পিতা- ভগবান্যা চাকমা, নাড়াইছড়ি, ৫. দিবস চাকমা (৪২) পিতা- সূর্য মোহন চাকমা, নাড়াইছড়ি বাজার, ৬. সুভাষ চাকমা (৩৪) পিতা- দিবেন্দ্র চাকমা, নাড়াইছড়ি বাজার, ৭. রিপন চাকমা (৩২) পিতা-অজ্ঞাত, ৮. স্নেহ কুমার চাকমা (৫০) পিতা- অজ্ঞাত, ৯. বিচ্চিঙো চাকমা (৩০) পিতা- বর্ধন চাকমা ও ১০. রিপন চাকমা (২৬) পিতা- ফুল রঞ্জন চাকমা, গ্রাম- নাড়াইছড়ি

বাড়ি-ঘর তল্লাশির সময় সেনারা সন্ত্রাসীরা কোথায় থাকে, সন্ত্রাসী দেখেছো কিনা... ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করেছে বলে তল্লাশির শিকার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন

গত ৮ মার্চ বিকালের দিকে হেলিকপ্তার যোগে সেনাবাহিনীর একটি দল নাড়াইছড়ি বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে অবস্থান নেয় সেখান থেকেই তারা উক্ত তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে

ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক কলোপ্রিয় চাকমা আজ ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী অঞ্চল নারেইছড়িতে তল্লাশী ও অপারেশনের নামে সাধারণ জনগণকে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন

তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ সন্তু গ্রুপের হামলায় নারেইছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সেখানে সাধারণ জনগণের ওপর অত্যাচার ও হয়রানি শুরু হয় বিবৃতিতে তিনি সাধারণ জনগণকে হয়রানি না করে সন্ত্রাসী সন্তু গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান

কালো প্রিয় চাকমা অভিযোগ করে বলেন, সশস্ত্র সন্তু গ্রুপের সদস্যরা গত ৮ ফেব্রুয়ারী নারেইছড়ি বাজার থেকে ১৮,২৫২ কেজি চাউল, সিগারেট ও সিদোলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এর পরও বিজিবি সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বরং বিজিবি ইউপিডিএফ-এর গণভিত্তি দুর্বল করতে সন্তু গ্রুপকে সন্ত্রাসী তত্‍পরতা চালাতে উত্‍সাহিত করে আসছিল সন্ত্রাসীরা নারেইছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়েই ঘোরাফিরা করে থাকে