সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৪
ডিসেম্বর ২০১৩, শনিবার
খাগড়াছড়ি: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে
ইউপিডিএফ’র সহযোগী তিন সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি),
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে আজ ১৪ ডিসেম্বর শনিবার খাগড়াছড়িতে
র্যালী ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“ ’৭১ সালে কুকিছড়া হত্যাকান্ড
ও দিঘীনালার কবাখালীতে চিকন মিলা হত্যার বিচার কর, ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ
হোন”- এই শ্লোগানে সকাল সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকা থেকে একটি র্যালি
শুরু হয়। র্যালিটি জেলা পরিষদ, নারানহিয়া, উপজেলা হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ারের এমএন লারমা
ভাস্কর্যের পাদদেশে অস্থায়ী শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময়
ইউপিডিএফ’র কিশোর চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কণিকা দেওয়ান ও মিশুক চাকমা, পিসিপি
ও যুব ফোরামের বিপুল চাকমা ও জিকো ত্রিপুরা সহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পিসিপি’র
খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রজেন্টু চাকমা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
শেষে শহীদদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি
জেলা শাখার সভাপতি বিপুল চাকমা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আজকের
এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী পরাজয় বরণের শেষ মুহুর্তে এদেশকে মেধাশূণ্য করার লক্ষ্যে
অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাদের নৃশংসতা থেকে লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক,
চিকিৎক, গবেষক কেউই বাদ যায়নি। অপরদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামে এই দিনে খাগড়াছড়ির
কুকিছড়া-গাছবান এলাকায় মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা নিরীহ পাহাড়িদের উপর হামলা ও হত্যাকান্ড
চালায়। তারা কমপক্ষে ৮ জন নিরীহ পাহাড়িকে গুল করে হত্যা করে। এছাড়া ২০১১ সালে এই দিনে
দিঘীনালা উপজেলার কবাখালীতে সেটলার বাঙালিরা চিকন মিলা চাকমা নামে এক পাহাড়ি নারীকে
হত্যা করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার
৪২ বছর পর দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবৎকালে ডজনের
সংঘটিত গণহত্যার আজো কোন বিচার করা হয়নি।