“শাসকশ্রেণী ও তার দালালদের
সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে পূর্ণস্বায়ত্ত্বশাসনের
আন্দোলন জোরদার করুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে
আজ ৩ নভেম্বর রবিবার বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর খাগড়াছড়ি
সরকারী কলেজ শাখার ৫ম কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ১১টায় কলেজের হলরুমে
সুভাষ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পিসিপি'র কেন্দ্রীয়
সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা, গণতান্ত্রিক
যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য কংপ্রু মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি
জেলা শাখার সভাপতি মিশুক চাকমা। কাউন্সিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা স্টুডেন্টস
ফোরামের খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার সভাপতি কমেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপি'র
কলেজ শাখার সহ সধারণ সম্পাদক কইংজনা মারমা।
পিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি
থুইক্যচিং মারমা বলেন, "বাংলাদেশ এক জাতি রাষ্ট্র নয়, বহু জাতিক রাষ্ট্র।"
সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত
রেখেছে। এর বিরম্নদ্ধে ছাত্র সমাজকে আন্দোলনে সোচ্চার হতে হবে।
বিপুল চাকমা বলেন, ১৯৯২
সালে লোগাং গণহত্যার প্রতিবাদে ২৮ এপ্রিল ছাত্র সমাজ সরকারী কলেজের ঐতিহাসিক কড়ইতলা
থেকে লোগং আভিমুখে লংমার্চ-এ অংশগ্রহণ করেছিল। এই সংগ্রামী ঐতিহ্যকে ধারণ করে জাতীয়
অস্তিত্ব রক্ষার্থে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সুভাষ
চাকমা বলেন, কলেজে শিক্ষক সংকট, পরিবহন সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যার
ফলে শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি
কলেজের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দাবি করেন।
তিনি বলেন, কলেজের ছাত্ররাই
বিভিন্ন সময় আন্দোলনে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে ছাত্র-ছাত্রীদের আরো বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে।
অধিবেশন শেষে কইংজনা মারমাকে
সভাপতি, প্রসেনজিৎ ত্রিপুরাকে সাধারন সম্পাদক ও এল্টন চাকমাকে সাংগঠনিক
সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটিসহ ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন কমিটি গঠন
করা হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)