সিএইচটি
নিউজ বাংলা, ১৭ মে ২০১৩, শুক্রবার
দিঘীনালা প্রতিনিধি: আকাশে কালো মেঘ জমলে দরজা-জানালা বন্ধ করে ভবন থেকে বের হয়ে
যাই। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে
দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে।’ খাগড়াছড়ির
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের ভবনের দুরবস্থার কথা বলছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্ণা চাকমা।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়সহ চারটি সরকারি দপ্তর রয়েছে।উপজেলা
প্রকৌশলীর দপ্তরের সূত্রমতে, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের নয়টি ভবন ঝুঁকির মধ্যে
রয়েছে। এসব ভবনে উপজেলা পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার
কার্যালয়, পরিসংখ্যান কর্মকর্তার কার্যালয় ও সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের
দাপ্তরিক কাজ করা ভবনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৯৬০ সালে।
বর্তমানে ভবনের দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে। সামনের অংশের রেলিং ভেঙে গেছে।মৎস্য কর্মকর্তা অবর্ণা চাকমা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিম
শরীফ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনে তাঁরা দাপ্তরিক কাজ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)
কার্যালয়ের সামনের ভবনটিতে রয়েছে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা
খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও সোনালী ব্যাংক।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার
কার্যালয়ের উপখাদ্য পরিদর্শক নীলাবতি চাকমা বলেন, ‘গত বছরের ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে
১০টায় হঠাৎ ভবনের ছাদ থেকে বড় একটি পলেস্তরা টেবিলের ওপর আছড়ে পড়ে।
কার্যালয়ের সবাই আতঙ্কিত হয়ে ছোটোছুটি করে বাইরে বের হয়ে আসি। উপজেলা পরিষদের
কর্মচারীদের আবাসিক ভবনও (ডরমিটরি) ঝুঁকিপূর্ণ।
ভবনে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল
অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী অপু বড়ুয়া বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ
জেনেও সেখানে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। ভবনের মেয়াদ নেই, পলেস্তরা খসে পড়ে।’
উপজেলা প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার
হালদার বলেন, ‘আমরা ভবনগুলো ভেঙে নতুন প্রশাসনিক ভবন (উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স)
নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।
ভবনগুলো ভেঙে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
ইউএনও পি কে এম এনামুল করিম বলেন,
‘আমরা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীসহ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সরেজমিনে দেখে নতুন ভবন
নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।
------