সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৭
মে ২০১৩, শুক্রবার
ঢাকা: কক্সবাজারের রামু
উপজেলায় ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধ মন্দির ও বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় গঠিত বিচার
বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। গতকাল ১৬ মে বৃহস্পতিবার বিচারপতি
মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট
বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ওই ঘটনার সঙ্গে ২৯৮ জনকে জড়িত হিসেবে
শনাক্ত করেছে কমিটি।
ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য ২০ দফা সুপারিশ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, জনগণকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও প্রশাসনকে শক্তিশালী করাসহ প্রভৃতি।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে রামু ট্যাজেডির মতো আর কোনো মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সরকারসহ সব বিবেকবান মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত ও সুপারিশসহ দুই খণ্ডে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি ছবি ট্যাগ করাকে কেন্দ্র করে ২৯ সেপ্টেম্বর রামু উপজেলার বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা চালানো হয়।
এ হামলায় ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও প্রায় ৩০টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আরও ছয়টি বৌদ্ধ বিহার ও শতাধিক বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (নং- ১২৭৩৮/২০১২) করেন, রামুর বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
তিনি সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের জন্য ১৩ ডিসেম্বর একটি দরখাস্ত দাখিল করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (আইন ও বিচার বিভাগ, বিচার শাখা-৫ এর ১১/০৩/২০১৩ ইং তারিখের বিচার-৫/৩এম-২৫/২০০২ (অংশ-১)-২০০ নং স্মারক) তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রামের দায়রা জজ মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ মোস্তফা করিম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (কারা ২) মো. জহুরুল হক।
এ কমিটি গত ২১ মার্চ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও ঘটনার বিভিন্ন স্থির ও ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। প্রতিবেদনে ১৪৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, ৫৬টি স্থিরচিত্র ও তথ্য-উপাত্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্ত শেষে এ প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করা হয়।
ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য ২০ দফা সুপারিশ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, জনগণকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও প্রশাসনকে শক্তিশালী করাসহ প্রভৃতি।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে রামু ট্যাজেডির মতো আর কোনো মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সরকারসহ সব বিবেকবান মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত ও সুপারিশসহ দুই খণ্ডে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি ছবি ট্যাগ করাকে কেন্দ্র করে ২৯ সেপ্টেম্বর রামু উপজেলার বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা চালানো হয়।
এ হামলায় ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও প্রায় ৩০টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আরও ছয়টি বৌদ্ধ বিহার ও শতাধিক বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (নং- ১২৭৩৮/২০১২) করেন, রামুর বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
তিনি সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের জন্য ১৩ ডিসেম্বর একটি দরখাস্ত দাখিল করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (আইন ও বিচার বিভাগ, বিচার শাখা-৫ এর ১১/০৩/২০১৩ ইং তারিখের বিচার-৫/৩এম-২৫/২০০২ (অংশ-১)-২০০ নং স্মারক) তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রামের দায়রা জজ মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ মোস্তফা করিম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (কারা ২) মো. জহুরুল হক।
এ কমিটি গত ২১ মার্চ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও ঘটনার বিভিন্ন স্থির ও ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। প্রতিবেদনে ১৪৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, ৫৬টি স্থিরচিত্র ও তথ্য-উপাত্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্ত শেষে এ প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করা হয়।