সিএইচটি
নিউজ বাংলা, ১৭ মে ২০১৩, শুক্রবার
সিএইচটি নিউজ বাংলা ডেস্ক: খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১১ উপজেলায়। চট্টগ্রামের হাটহাজারি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দীর্ঘ এই সঞ্চালন লাইনের কোনো একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
সিএইচটি নিউজ বাংলা ডেস্ক: খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১১ উপজেলায়। চট্টগ্রামের হাটহাজারি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দীর্ঘ এই সঞ্চালন লাইনের কোনো একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি, রামগড়,
লক্ষ্মীছড়ি, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা এবং
রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় হাটহাজারী থেকে একই
সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ
সরবরাহ করা হয়। এসব এলাকার গ্রাহকেরা বিদ্যুৎবিভ্রাটের
কারণে সারা বছরই ভোগান্তির শিকার হন। বিকল্প সঞ্চালন লাইন না থাকায় খাগড়াছড়ি
জেলা সদরের হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই থাকে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক
চিকিৎসা কর্মকর্তা সঞ্জীব ত্রিপুরা জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের ঠিকমতো সেবা দেওয়া যায়
না। এক্স-রে যন্ত্রসহ নানা চিকিৎসাসরঞ্জাম
ব্যবহার করাও সম্ভব হয় না। বিদ্যুতের সমস্যার কারণে পানির পাম্পও চালানো যায় না।
২ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত টানা আট দিন
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল দীঘিনালা উপজেলায়। সঞ্চালন লাইনের ত্রুটির
কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ
সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না
থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেফ্রিজারেটরে রাখা ইপিআই কর্মসূচির টিকা নষ্ট
হওয়ার আশঙ্কা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা।
বিদ্যুৎ না
থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড দীঘিনালা উপকেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী যত্ন
মানিক চাকমা বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা চালু রাখতে হয়। দীর্ঘ ১৩৫ কিলোমিটার
সঞ্চালন লাইনের যে কোনো একটি খুঁটির ইনস্যুলেটর (বৈদ্যুতিক তার ধরে রাখার জন্য
চীনামাটির তৈরি খাপ) নষ্ট হয়ে গেলে ১১ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
যত্ন মানিক চাকমা আরও জানান,
খাগড়াছড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ
সরবরাহ করা হয় ১৩৫ কিলোমিটার দূরের হাটহাজারি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে। এ গ্রিড
উপকেন্দ্রের অধীনে খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, রামগড় ও জালিয়াপাড়ায় ৩৩
কিলোভোল্ট (কেভি) সম্পন্ন পাঁচটি উপকেন্দ্র রয়েছে। এসব উপকেন্দ্রের মাধ্যমে জেলার
আটটি ও রাঙামাটির তিনটি উপজেলায় বিদ্যুৎ
সরবরাহ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে খাগড়াছড়ি
জেলায় বিকল্প বিদ্যুৎ
সঞ্চালনব্যবস্থা চালু করার জন্য ১৩২ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন রিয়েল উপকেন্দ্র
স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু এক যুগেও সেই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।
(সূত্র: বার্তা লাইভ২৪ ডটকম)