সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৭ মে ২০১৩, শুক্রবার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে।পাশাপাশি অনুকূল পরিবেশ থাকায় মানসম্মতভাবে ফসলটি সংগ্রহ করাও সম্ভব হয়েছে। মান ভালো থাকায় বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। এ আশায় খুশি এখানকার চাষিরা। খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি মুখ, ফুটবিল, ভাইবোনছড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায় চাষিরা গাছ থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করে মাড়াই দেওয়ার পর রোদে শুকাচ্ছেন। কমলছড়ি গ্রামের কৃষক পল্টু চাকমা জানান, গত তিন-চার বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভুট্টার চাষ করে আসছেন।
এ বছর তিনি এক হেক্টরের বেশি জমিতে চাষ করে ১১ মেট্রিক টনের বেশি ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফসল তোলা শুরু করেছেন। মাড়াইয়ের পর রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করছেন।
কৃষক হীরা লাল চাকমা জানান, ভুট্টার চাষ তুলনামূলক ভাবে খরচ কম ও লাভ বেশি। তবে ভুট্টা তোলার সময় একটু বেশি সতর্কতা প্রয়োজন। সামান্য ভুলের কারণে ভুট্টার মান কমে যেতে পারে। ভুট্টার মান কমে যাওয়া মানে কৃষকদের বড় রকমের ক্ষতি। তাই কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ি এলাকার কৃষকদের আরও একটি সমস্যা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে ভুট্টার ক্রেতা নেই। যে দু-একজন ব্যবসায়ী ভুট্টা কেনেন তারা কম দামেই কিনতে চান। ফলে কৃষকেরা ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন না। অনেক কৃষক নিজ উদ্যোগে চট্টগ্রামের নাজিরহাট, হাটাহাজারী, মীরসরাই গিয়ে ভুট্টা বিক্রি করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর খাগড়াছড়ি জেলায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আশা করছে, খাগড়াছড়ি জেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন ভুট্টা উৎপাদিত হবে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ভুট্টাচাষিদের শুধু চাষাবাদ সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে থাকে। এর বাইরে চাষিদের কোনো ধরনের সাহায্য করতে পারেন না। তিনি আরও জানান, ভুট্টার চাষে কৃষকদের খুব সতর্ক থাকতে হয়। প্রতিবছর একই জমিতে ভুট্টার চাষ হলে ধীরে ধীরে ফলন কমতে থাকে। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। তাই একই জমিতে প্রতিবছর ভুট্টার চাষ না করে দু-এক বছর অন্তর করলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাবে।