সিএইচটি
নিউজ বাংলা, ১২ এপ্রিল ২০১৩, শুক্রবার
খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু) উপলক্ষে সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আয়োজনে আজ ১২ এপ্রিল শুক্রবার খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা। এ সময় বিশিষ্ট মুরুব্বী ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা বি.কে রোয়াজা, বিশিষ্ট মুরুব্বী কংচাইরী মাষ্টার, শিক্ষাবিদ অর্ধেন্দু শেখর চাকমা, পানখাইয়া পাড়ার বিশিষ্ট মুরুব্বী কিরণ মারমা, জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক সুকৃতি জীবন চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মধুমঙ্গল চাকমা, নারী নেত্রী নমিতা চাকমা ও ইন্দিরা চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু) উপলক্ষে সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আয়োজনে আজ ১২ এপ্রিল শুক্রবার খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা। এ সময় বিশিষ্ট মুরুব্বী ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা বি.কে রোয়াজা, বিশিষ্ট মুরুব্বী কংচাইরী মাষ্টার, শিক্ষাবিদ অর্ধেন্দু শেখর চাকমা, পানখাইয়া পাড়ার বিশিষ্ট মুরুব্বী কিরণ মারমা, জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক সুকৃতি জীবন চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মধুমঙ্গল চাকমা, নারী নেত্রী নমিতা চাকমা ও ইন্দিরা চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
"ঐক্য,
ভ্রাতৃত্ব ও সংগ্রামী চেতনা প্রজ্জ্বলিত করুন"এই শ্লোগানে খাগড়াছড়ি সদরের
মধুপুর বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি শুরম্ন হয়ে পানখাইয়া পাড়া, শাপলা চত্বর, চেঙ্গী স্কোয়ার,
উপজেলা ও নারাঙহিয়া প্রদক্ষিণ করে স্বনির্ভর মাঠে এসে শেষ হয়। নিজস্ব পোশাকে সজ্জিত
হয়ে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী ও শিশু-কিশোরের
অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি বর্ণিল রূপ ধারণ করে। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাব নিজস্ব ব্যানারে
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
শোভাযাত্রা
শেষে স্বনির্ভর মাঠে গরিয়া নৃত্য ও সাঁওতাল নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বৈসাবি উপলক্ষে
গত ৯ এপিল থেকে শুরু হওয়া চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে সাদরে বরণের এই উৎসবকে
ত্রিপুরা ভাষায় ‘বৈসু’, মারমা ভাষায় ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমা ভাষায় ‘বিজু’ বলা হয়ে থাকে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এই তিন সম্প্রদায়ের প্রথম আদ্যাÿর নিয়েই একনামে ‘বৈসাবি’ শব্দটি এসেছে। বৈসাবি’র মূল চেতনা হচ্ছে ঐক্য,
সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা। এই চেতনাকে ধারণ করে এবারের বৈসাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে
ঐক্য সংহতি জোরদার হোক এটাই সবার প্রত্যাশা।
-----