বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৩

দিঘীনালায় পাহাড়ি শিশুকে খুন ও রামগড়ে গৃহবধুকে ধর্ষণ প্রচেষ্টার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিক্ষোভ

সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১১ এপ্রিল ২০১৩, বৃহস্পতিবার
গত ৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মেরুং-এ তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী চম্পা চাকমাকে(৯) খুন  এবং  ১০ এপ্রিল রামগড়ের পাতাছড়া এলাকায় মো: জসিম কর্তৃক এক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণ প্রচেষ্টার প্রতিবাদে হিল উইমেন্স ফেডারেশন আজ ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

সকাল ১০টায় স্বনির্ভর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নারাঙহিয়া রেডস্কোয়ার, উপজেলা, চেঙ্গী স্কোয়ার হয়ে মহাজন পাড়ার সূর্যশিখা ক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে চেঙ্গী স্কোয়ারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক শিমন চাকমা।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। বর্তমানে এর মাত্র ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, সারা পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে বৈসাবি উসবে আনন্দমুখর সেখানে চম্পা চাকমাকে এভাবে খুন হতে হলো কেন? কারা এই ঘটনার সৃষ্টিকারী? প্রশাসনকে অবশ্যই মা-বোনদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, গত ১০ এপ্রিল রামগড়ের ঘটনাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে আশার কথা হচ্ছে গ্রামবাসী সংগঠিত হয়ে মো: জসিমকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। পুলিশ যেন এই নরপশু মো: জসীমকে ছেড়ে না দেয় সেজন্য তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, কিছুদিন আগেও মাটিরাঙ্গায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ২৭টি পরিবারকে গ্রামছাড়া করেছে সেটলার বাঙালিরা। তারা এখনও নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরতে পারছে না।

সকল সম্প্রদায় যেন নিজের বাস্তুভিটায় নিরাপদে থেকে তাদেরদ ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উসব পালন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বক্তারা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

বক্তারা অবিলম্বে চম্পা চাকমার খুনীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও এ ধরনের ঘটনা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেন।

সমাবেশ শেষে মিছিলটি আবারো স্বনির্ভরে এসে শেষ হয়।

উলেস্নখ্য, গত ৯ এপ্রিল চম্পা চাকমা(৯) তার এক ভাইকে নিয়ে জঙ্গলে তরকারি সংগ্রহ করতে যায়। কিছুÿণ পরে ২/৩ জন সেটলার বাঙালি চম্পাকে টেনে হিচড়ে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে গেলে চম্পার ভাই কোনমতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামবাসীরা অনেক খোঁজাখুজির পর গতকাল ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে জঙ্গলের ভেতর চম্পা চাকমার লাশ খুঁজে পায়।