সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৯ মে ২০১১
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির উপজেলা সদরের কলেজ গেটে অবস্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কার্যালয় সহ ৮টি দোকান ঘর আগুনে পুড়ে গেছে।
জানা যায়, গত মধ্যরাত আনুমানিক ১২টার সময় পিসিপি অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অফিস সহ ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, আসবাপত্র সহ সকল জিনিসপত্র পুড়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া অন্যান্য দোকানগুলোর মধ্যে ১টি মুদির দোকান, ১টি কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটোকপির দোকান, ১টি মেকারের দোকান, ৩টি চায়ের দোকান ও ১টি সেলুনের দোকান রয়েছে৷ আগুনে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া চা দোকানের একজন মালিক গোবিন্দ চাকমার আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বলেন, রাত আনুমানিক পৌনে ১২ টা পর্যন্ত তিনি তার দোকানে টিভি দেখছিলেন। এসময় দু'বার তার কুকুরগুলো ডেকে উঠে। প্রথম বার কুকুর ডাকার পর তিনি বাইরে গিয়ে কোন কিছু না দেখে আবার দোকানের ভিতর ঢুকে পড়েন৷ পরে দ্বিতীয়বার আবারো কুকুর ডেকে উঠে। এর ১০ মিনিট পরই আগুন আগুন করে একজন চিত্কার দিয়ে উঠলে তিনি বের হয়ে দেখেন তখন পিসিপি অফিস সহ পাশের দোকান পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। পরে মুহুর্তের অন্যান্য দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা আর সম্ভব হয়নি। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কোন কর্মীও উপস্থিত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, 'বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা তেমন নেই। কেউ শত্রুতা বশত আগুন লাগিয়ে দিতে পারে।'
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আপ্রুসি মারমা এক বিবৃতিতে উক্ত ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে বলেন, পাহাড়িদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি ও ইউপিডিএফ-এর গণতান্ত্রিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে তারই অংশ হিসেবে অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বন্ধ করে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ১৬ মে রাতে দিঘীনালায় ইউপিডিএফ-এর কার্যালয় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।