সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৬
ডিসেম্বর ২০১৩, বৃহস্পতিবার
শিশু র্যালি সহ নানান
কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত আঞ্চলিক
রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পালিত হয়েছে।
আজ ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার
সকাল ৯.২০টায় খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়া মাঠে ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার
আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু
হয়। এ সময় তিন সদস্যের একটি চৌকষ পতাকাবাহী দল দলীয় পতাকা বহন করেন।
পতাকা উত্তোলনের পর শুরু
হয় শহীদদের উদ্দেশ্যে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন। প্রথমে
ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক
অর্পন করেন ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমা ও উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা। এরপর জুম্ম
জনপ্রতিনিধি সংসদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র
পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনগণ ও শিশু-কিশোররা পুষ্পস্তবক
অর্পন করেন।
অনুষ্ঠানে ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ,
পিসিপি, ডিওয়াইএফ, এইচডব্লিউএফ, জুম্ম জনপ্রতিনিধি সংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী
সংঘের নেতা-কর্মী, শিশু-কিশোরসহ এলাকার সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। পুষ্পমাল্য অর্পন
শেষে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রসিত বিকাশ খীসা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
শহীদদের স্মরণ করে তিনি
বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের অধিকার, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা শহীদ
হয়েছেন তাদের সম্মান জানাই। যতদিন এই সমাজ ঠিকে থাকবে, যতদিন এই জগৎ
ঠিকে থাকবে ততদিন যারা জনগণের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা স্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
এরপর সকাল ১১টায় প্রসিত
বিকাশ খীসা স্বনির্ভর মাঠে শিশু র্যালী উদ্বোধন করেন। ইউপিডিএফ নেতা শান্তিদেব চাকমা
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রসিত
খীসা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত, পার্টি হিসেবে আমারা প্রশাসনিক ক্ষমতা পালন করিনা,
রাজনৈতিক ক্ষমতাও আমাদের নেই। কিন্তু আমরা চাই এর মধ্য দিয়ে অন্যরাও যাতে সহযোগীতায়
এগিয়ে আসে এবং এই বোধ জাগ্রত হয়। আমাদের শিশুদের সহযোগিতার পরিবেশ দরকার। পুরনো ঘুনেধরা
অফিস কেন্দ্রীক বা বাইরের আয়াসের মধ্যে থেকে নয়, জীবন সংগ্রামের বাস্তবতা, পরিবেশ এবং
সমস্ত প্রতিকূলতা যেন নিজেরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, আজকে যে শিশুরা
বেলুন হাতে দাড়িয়ে আছে, হাতে ফুলের তোরা এবং রঙিন রিবন দেখা যাচ্ছে, তাদের এই উৎসব,
এই হাসি যাতে স্থায়ী হয়। তাদের এই আনন্দঘন মুহুর্তগুলো যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে।
তাদের ভবিষ্যত যাতে নিরাপদ নিশ্চিত হয় এবং তারা যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে সবার জন্য
অবদান রাখতে পারে।
বক্তব্য শেষ হওয়ার সাথে
সাথে তুমুল করতালি ও মুর্হুমুর্হু স্লোগানের মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোররা আকাশে বেলুন উড়িয়ে
দেয়।