সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৫
নভেম্বর ২০১৩, শুক্রবার
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক
ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের
সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা আজ ১৫ নভেম্বর
এক যুক্ত বিবৃতিতে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে
দায়েরকৃত মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রামিূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, খাগড়াছড়িতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের উছিলায় প্রশাসন গত ৯ ও ১০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি
সম্মেলন আয়োজনে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালন করে। এ
অবরোধ কর্মসূচিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশে পুলিশ খাগড়াছড়ি
সদর থানা সহ বিভিন্ন থানায় ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি
মামলা দায়ের করে। মামলাগুলোর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৫টি, দিঘীনালা থানায় ৪টি, পানছড়ি
থানায় ২টি, মাটিরাঙ্গা থানায় ১টি, গুইমারা থানায় ২টি, মহালছড়ি থানায় ১টি ও লক্ষীছড়ি
থানায় ১টি মামলা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ হয়রানি
করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত মামলা দায়ের
করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন- যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা অনেকে সেদিন
খাগড়াছড়িতে ছিলেন না, অবরোধের সাথেও তারা সম্পৃক্ত নয়। যেমন- ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা
ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান অবরোধের সময় চট্টগ্রামে সাংগঠনিক
কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ মামলা
দায়েরের ঘটনাকে আ’লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে বলেন, সরকার
জনসমর্থন হারিয়ে পাহাড়ি জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক
মামলার আশ্রয় নিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন,
আ’লীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক মহালছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের ওপর
হামলা, পানছড়িতে ৩টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের
ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো ইউপিডিএফ ও সহযোগী
সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
-----