সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৯
মে ২০১৩, বুধবার
সিএইচটি নিউজ বাংলা ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামের আট সংগঠন জনসংহতি সমিতির সন্তু
গ্রুপের প্রতি চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে
এই কর্মসূচীতে তারা সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের
সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল
উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্য চিং মারমা,
সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা
চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ
সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা আজ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে
এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “বর্তমান
আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অথচ গত সাড়ে চার বছরে সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের
জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই চুক্তিতে অনেক দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং এতে
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মৌলিক দাবির কোনটিই পূরণ হয়নি, কিন্তু তা সত্বেও জেএসএস
(সন্তু গ্রুপ) এই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করলে আমরা জনগণের
বৃহত্তর স্বার্থে তাতে সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছি।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চুক্তি
বাস্তবায়ন জেএসএস (সন্তু গ্রুপ) এর সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্মসূচী হলেও গত ১৫ বছরে সরকারের
ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তারা আন্দোলনের কোন কর্মসূচী ঘোষণা করেনি -- এমনকি ইউপিডিএফ বিভিন্ন
সময় এই কর্মসূচীতে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও সন্তু গ্রুপ কার্যকর আন্দোলনের
পদক্ষেপ নেয়নি।
জেএসএস সন্তু গ্রুপের নেতৃবৃন্দকে
কথায় ও কাজে মিল রাখার আহ্বান জানিয়ে আট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের
জনগণ এতদিন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের আন্দোলনে যাওয়ার অনেক হুঁশিয়ারী, প্রতিশ্রুতি
ও শপথ বাক্য শুনেছে। কিন্তু বাস্ত্মবে সেসব ফাকাঁ আওয়াজে পর্যবসিত হয়েছে। আজ জনগণ আপনাদের
কাছ থেকে আন্দোলনের ফাঁকা আওয়াজ শুনতে প্রস্তুত নয়, প্রকৃত কর্মসূচীর ঘোষণা শুনতে চায়।
আশাকরি এবার আপনারা জনগণের স্বার্থে আমাদের আট সংগঠনের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে বাস্তবিক
অর্থে ‘আপনাদের সোজা আঙুল বাঁকা’ করে আন্দোলন শুরম্ন করবেন। আর তা না হলে আপনারা প্রতারক
হিসেব চিহ্নিত হবেন।”
-----