সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৮ মে ২০১৩, মঙ্গলবার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মাটিরাংগা উপজেলার গুইমারা
থানাধীন নতুন পাড়ার বাসিন্দা গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থী এক পাহাড়ি
ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে । ধর্ষণের শিকার বালিকা আজ মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি
আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
১৯৭নং গুইমারা মৌজা কবুতরছড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল
খায়েরের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী ধর্ষক ফকরুল ইসলাম লিটন(২৭)কে পুলিশ আটক করেছে । ধর্ষণকারী
ফকরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ এর সংশোধনী-২০০৩ এর ৭/৯(১) ধারায়
মামলা দেয়া হয়েছে। গুইমারা থানায় দায়ের করা এ মামলার নম্বর–৩,তাং-২৭/৫/১৩। মামলার তদন্তকারী
এসআই আরফান আলী খন্দকার।
পুলিশ
ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, জেলা মাটিরাংগা উপজেলার গুইমারা থানাধীন নতুন পাড়ার বাসিন্দা
ক্যমং মারমার মেয়ে গুইমারা স্কুলে পড়ালেখা করে। স্কুলে আসা-যাওয়া সুবাদে প্রায় গুইমারা
বাজারে তাকে আসতে হতো। মেয়েটি ধর্ষণকারী ফকরুল ইসলাম লিটনের দোকানে কাপড় ক্রয় করতে
মাঝে মাঝে যেতো। এ সুযোগে ধর্ষণকারী ছাত্রীটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে, ফুসলিয়ে গত ১১/০৪/২০১৩
তারিখে সকাল ১০টার সময় বাজার হইতে গুইমারা থানাধীন জালিয়া পাড়া নিয়ে যায় । সেখান থেকে
বাসে করে ছাত্রীকে চট্টগ্রামে অজ্ঞাত স্থানে জোর পুর্ব্বক আটক রেখে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে
উপর্যুপরি ধর্ষণ করে । অজ্ঞাত স্থানে ৯দিন ধরে চট্টগ্রামে মেয়েটিকে পাশবিক নির্যাতন
চালিয়েছে ।
পরেরদিন
মেয়েটি ধর্ষককে ফাকি দিয়ে সূকৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় ।
জানা
যায়, ঘটনার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় আপোষ-মীমাংসা
করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিকটিম ও তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ।
প্রভাবশালী ধর্ষক গং(বিবাদী)রা বর্তমানে ধর্ষণের
শিকার ছাত্রী ও তার পরিবার-পরিজনদের নানাভাবে জীবনে হুমকি দেওয়ার ফলে প্রশাসনের কাছে
নিরাপত্তা চেয়েছেন ।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ বশির
আহম্মেদ জানান, গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে কৌশলে ফুসলিয়ে
চট্টগ্রামে অজ্ঞাতস্থানে রেখে ধর্ষন ও জীবন নাশের অভিযোগ পাওয়ার তদন্ত সাপেক্ষে মামলা
করে আসামীকে আটকের পর কোর্টের চালান দেওয়া হয়েছে । মেয়েটিকে পুলিশ পাহারায় আধুনিক সদর
হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ।
বাংলাদেশ মারমা সংগঠন ঐক্য পরিষদে’র প্রতিষ্ঠাতা
ম্রাসাথোয়াই মারমা জানান, অনাকাঙ্খিত এ রকম কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পৈশাচিকভাবে
ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন, পরবতীতে পুনারাবৃত্তি
যদি ঘটে তা হলে কঠোর কর্মসূচী মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেয়া হবে ।