মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৩

আলীকদমে কিশোরী ও বিধবা ধর্ষণের শিকার

সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৮ মে ২০১৩, মঙ্গলবার
বান্দরবান :  আলীকদমে পৃথক দুটি ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী ও এক বিধবাকে গতকাল সোমবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। বিধবাকে ধর্ষণকারী তিনজনই মিয়ানমারের নাগরিক বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, তিন ধর্ষণকারী ও এক ধর্ষণের সহযোগিতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

ধর্ষণের শিকার বিধবার ভাই জানান, আলীকদম উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে তৈনখালের হেডম্যানপাড়া এলাকায় তাঁর বিধবা বোন দুই শিশুসন্তান নিয়ে একটি খামারে একা ছিলেন। ২২ মে রাতে আয়ুব, শফি আলম ও রফিকুল আলম খামারের দরজা ভেঙে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকেরা বাবুপাড়া এলাকার সেলিম সর্দারের রোহিঙ্গাপাড়ার রোহিঙ্গা। প্রায় ৪০টি পরিবারে ওই পাড়ার রোহিঙ্গারা চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ ও অপহরণের মতো অপরাধ করলেও কোনো বিচার হয় না। 

শফি আলম ও রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আয়ুবকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।

ধর্ষণের শিকার বিধবা বলেন, ঘটনার পরদিন তিনি উপজেলা সদরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে আসতে না দিয়ে শফি আলম ও আয়ুব মারধর করায় তিনি আহত হয়েছেন। পরে তাঁর ভাই খামার থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

কিশোরীর ভাই বলেন, বিবাহিত হেলাল উদ্দিন তাঁর বোনকে নোয়াপাড়া এলাকায় একটি তামাকখেতে নিয়ে ধর্ষণের পর অপহরণ করেছেন। দুই মাস আটকে রাখার পর তাঁরা পুলিশ নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
 

পুলিশ এ সময় অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন ও তাঁর মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। 

আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহামঞ্চদ হোসাইন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি রোহিঙ্গা কি না তদন্তে জানা যাবে। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।

সূত্র: প্রথম আলো