[এই লেখাটি প্রশান্ত ত্রিপুরার ফেসবুক নোট থেকে নেয়া হয়েছে। লেখাটির গুরুত্ব অনুধাবন করে এটি এখানে হুবহু প্রকাশ করা হলো--সম্পাদক]
এই নোট
মূলত ‘পার্বত্য
চট্টগ্রামে সামরিক নিপীড়নের ইতিহাসকে বৈধতাদানের প্রয়াস’ শিরোনামে প্রথম আলোর শুক্রবারের সাময়িকীতে একটি
‘প্রতিক্রিয়া’ হিসাবে ২৯ জুন ২০০১ ছাপানো আমার লেখার অংশবিশেষ। লেখার
বাদ দেওয়া বা সংক্ষেপিত অংশগুলো আয়ত বন্ধনীর মধ্যে দেখানো হয়েছে। নোটের শেষে
সমকালীন প্রেক্ষিতে দু’টি কথা যোগ করেছি।
আমি
সিগারেট ধরি ১৯৮৯ সালে। সময়টা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি ক্রান্তিকাল।
এই সময় দৈবচক্রে কিছু ঘটনায় আমি জড়িয়ে পড়ি, যার জের ধরে একটা পর্যায়ে আমি সিগারেট
খাওয়া ধরি। সেই সময় বা পরবর্তীকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা
আমি মূলত দূর থেকেই অনুসরণ করেছি। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত দু-তিন দশকের
ইতিহাসে আমি নিজে বিশেষ কোন ভূমিকা রাখতে না পারলেও সেই ইতিহাস ব্যক্তিগত পর্যায়ে
আমার জীবনে বিভিন্ন সময় যেসব ছাপ ফেলেছে, সেগুলো আরো অনেকের মত আমি এখনো বয়ে চলছি।
যেমন, সিগারেটের প্রতি আসক্তি আমার এখনো কাটে নি। একান্তই ব্যক্তিগত এ ধরনের তুচ্ছ
বিষয় নিয়ে গল্প বলার কোন কারণ থাকার কথা ছিল না। কিন্তু [এর] পেছনের গল্পটা বলার
তাগিদ ভীষণভাবে বোধ করছি একটি বই হাতে পাওয়ার পর থেকে। [...]
বেশ অনেক
বছর যাবৎ একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা
কর্মকর্তা হাতে একটি নূতন অস্ত্র তুলে নিয়েছেন: কলম। তিনি হচ্ছেন পার্বত্য
চট্টগ্রামে এরশাদ সরকারের একটি মিশন সফল করে তোলার প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা
পালন করা একজন অফিসার – মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক (তৎকালে কর্ণেল)। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ
পরিস্থিতির মূল্যায়ন শিরোনামে তাঁর লেখা একটি বই সম্প্রতি প্রকাশিত
হয়েছে, যা গত ১১ মে ২০০১-এর প্রথম আলোর শুক্রবারের সাময়িকী বিভাগে পর্যালোচিত অমর
একুশে বইমেলা ২০০১-এর নির্বাচিত ১০টি ‘মননশীল বই’-এর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। [...]
বইটি হাতে পাওয়ার পর আমি এটাতে চোখ বুলাতে শুরু করেছি মাত্র [...]। এখানে আমি বইটি
সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন তুলে ধরব মূলত খাগড়াছড়িতে এটির লেখকের কর্মতৎপরতা একদিনের জন্য প্রত্যক্ষ করার যে অভিজ্ঞতা
আমার হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে।
[এর পরে
যে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে, সেটির সময়কাল ছিল ১৯৮৯-এর গ্রীস্ম। তখন আমি
বার্কলেতে নৃবিজ্ঞানের গ্র্যাজুয়েট ছাত্রত্ব থেকে এক সেমিস্টারের ছুটি নিয়ে দেশে
ছিলাম। সে অবস্থায় রবাহূত হয়ে খাগড়াছড়িতে কর্ণেল ইবরাহিম পরিচালিত একটি সভায়
উপস্থিত হয়েছিলাম যেখানে তিনি অভিনব কায়দায় ক্লাস নেওয়ার ঢং-এ উপস্থিত সবাইকে
বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন কেন জনসংহতি সমিতির বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার তখন আসন্ন
স্থানীয় সরকার (জেলা) পরিষদ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর ছিল। তাঁর শেখানো কথাগুলো সবাই
বুঝেছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য তিনি বিভিন্নজনকে প্রশ্ন করছিলেন। একটা পর্যায়ে কোন
উত্তরদাতা না পেয়ে তিনি আমার পাশে বসা আমার এক তরুণ সঙ্গীর প্রতি নজর দেন, যে তাঁর
প্রশ্নের প্রত্যাশিত উত্তর নির্ভুলভাবে দিয়েছিল। এতে কর্ণেল ইবরাহিম রেগে গিয়ে
বলেন: “উত্তর জেনেও চুপ করে বসে ছিলে কেন? অসভ্য কোথাকার!” আমি তখন সাথে সাথে
দাঁড়িয়ে তাঁর কথার প্রতিবাদ করে বলেছিলাম, “উত্তর না দেওয়ার অধিকার আমাদের আছে”।
এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “এখানে অধিকার নিয়ে তর্ক করতে আমরা আসি নি। আপনার ভাল না
লাগলে আপনি বেরিয়ে যান”।] আমি তৎক্ষণাৎ
আর একটি কথাও খরচ না করে [সভাস্থল] ত্যাগ করে চলে যাই অন্য কারো জন্য অপেক্ষা না
করে [...]। আমার কানে সারাক্ষণ শুধু একটি কথাই বেজে চলছিল, “এখানে আমরা অধিকার
নিয়ে তর্ক করতে আসি নি”, যেটার অণুরণন আমি আজো শুনতে পাই। [...]
[খাগড়াছড়িতে
কর্ণেল ইবরাহিমের ‘শ্রেণীকক্ষ’ থেকে আমার বহিস্কৃত হওয়ার কিছুদিন পর] ২০ মে ১৯৮৯
[তারিখে] ঢাকার রাজপথে দেখা যায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সেদিন [৪ঠা মে ১৯৮৯-তে
সংঘটিত] লংগদু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত
বিশাল সংখ্যক পাহাড়ি ছাত্রছাত্রী বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে নীরবে বিভিন্ন রাস্তা
প্রদক্ষিণ করে এবং এরপর সংগঠক ছাত্রছাত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল প্রেস ক্লাবে
সংবাদ সম্মেলন করে। আমিও মিছিলে উপস্থিত ছিলাম এবং তরুণ সংগঠকদের অনুরোধে সংবাদ
সম্মেলনেও তাদের সাথে ছিলাম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর কয়েকজন মিলে
দিচ্ছিল, যাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। এক পর্যায়ে কোন একজন সাংবাদিক যখন আমার পরিচয়
জানতে চাইলেন, তখন আমি কিছু বলার আগেই আমার পাশে বসা একজন কী ভেবে আমাকে পরিচয়
করিয়ে দিল উক্ত মিছিল আয়োজনকারী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বা সে জাতীয় কিছু একটা
হিসাবে। (উল্লেখ্য, এই মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনের দিনটাই ছিল বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আবির্ভাব দিবস, যে সংগঠনের প্রথম রূপ ছিল এডহক ভিত্তিতে গড়ে
তোলা একটি কমিটি।) ২০ মে ১৯৮৯-এর সেই প্রতিবাদ মিছিল বা সংবাদ সম্মেলনের কোন খবর
দেশীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে (জাতীয় দৈনিকসমূহসহ) প্রচার পায় নি বটে, কিন্তু সে রাতেই
বিবিসি [রেডিও]-সহ ভয়েস অফ আমেরিকা, আকাশবাণী প্রভৃতি বিদেশী বেতার মাধ্যমে খবর
প্রচারিত হয় যে, “প্রশান্ত ত্রিপুরার নেতৃত্বে লংগদু হত্যাকান্ডের একটি মৌন
প্রতিবাদ মিছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে...”। ব্যাপারটি তখন বেশ সাড়া জাগিয়েছিল।
বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে অভিনন্দন জানানো শুরু হয়ে যায়, এবং আমি যথেষ্টই বিব্রত হয়ে
পড়েছিলাম এ অযাচিত ‘খ্যাতি’তে এবং এ কথাও ভেবে যে, না জানি মূল সংগঠকরা এই ভেবে
ক্ষুন্ন হয় যে আমি উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের পরিশ্রমের কৃতিত্ব কেড়ে নিয়েছি। যাহোক,
অভিনন্দনের পাশাপাশি কিছু কিছু মহলে আমার বিরুদ্ধে প্রচারণাও শুরু হয়ে যায় এবং
খাগড়াছড়িতে জোর গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ওখানে ফিরলেই সেনাবাহিনী আমাকে আটক করবে। অনেকেই
সম্ভবত ধরে নিয়েছিলেন কর্ণেল ইবরাহিমের শ্রেণীকক্ষ থেকে বহিস্কৃত হওয়ার কারণে আমি
ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করতে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলাম। এই পরিপ্রেক্ষিতে
বাড়ি থেকে আমি জরুরী টেলিগ্রাম পাই, “এই মুহূর্তে তুমি আমেরিকার প্লেন ধরার
ব্যবস্থা কর। তোমার মালামাল ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।” [তবে] আমার পরিবারের সদস্যদের
উদ্বেগ উপেক্ষা করে আমি সিদ্ধান্ত নিই কিছুদিন ঢাকায় বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের
এবং প্রায় একমাস আমি [বুয়েটের] একটি ছাত্রাবাসে আমার এক ধূমপায়ী বন্ধুর সঙ্গে সময়
কাটাই। সে সময়টাতে শুরু হয় আমার সিগারেট আসক্তি।
আমি আমার
নিকোটিন আসক্তির জন্য জেনারেল ইবরাহিমকে দায়ী করার জন্য [...] লিখতে বসি নি। তাঁকে
ব্যক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। [বরং আমি জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর জেনারেল ইবরাহিম উপস্থিত রয়েছেন, বা
এমনকি তাঁর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এমন অনুষ্ঠানে কথা বলার একাধিক সুযোগ পাওয়ার
পরও প্রায় প্রতিবারই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম এটা ভেবে যে, অসতর্ক মুহূর্তে আবেগের
বশে সবার সামনে খাগড়াছড়ির সেই ঘটনার কথা বলে বসতে পারি। তবে পরবর্তী বিভিন্ন
পর্যবেক্ষণে উপলব্ধি করি যে, চিন্তা চেতনায় স্বৈরাচার বিরোধী এমন মানুষেরাও
জেনারেল সাহেবের বলে বেড়ানো একটা যুক্তি মেনে নিতে শুরু করেছিলেন যে, পার্বত্য
চট্টগ্রামের উপর প্রয়োগ করা সামরিক দমন নীতি অপরিহার্য ছিল। একই ধারাবাহিকতায়
পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক নিপীড়নের ইতিহাসকে বৈধতা দানের প্রয়াসে লেখা এই
জেনারেলের বইকে যখন প্রথম আলো একটি ‘সেরা মননশীল বই’-এর মর্যাদা দেয়, তখন আর চুপ
থাকতে পারি নি।]
এটা খুব
তাৎপর্যপূর্ণ যে, প্রথম আলোর নির্বাচিত ১০ মননশীল বই-এর তালিকায় অন্য যে লেখকদের
নাম রয়েছে, তাঁদের একজন মোহাম্মদ রফিক। [তাঁর] ‘সব শালা কবি হবে’ কবিতাটির গল্প
আমি শুনেছিলাম অনেকের থেকে বেশ পরে। কবিতাটি সরাসরি না পড়লেও জেনেছি কার উদ্দেশ্যে
এটি লেখা ছিল। প্রথম আলোতে মোহাম্মদ রফিকের ঠিক পাশেই [জেনারেল] এরশাদের একজন
[প্রাক্তন] একনিষ্ঠ অনুসারী/সহযোগীর ছবি ছাপা হয়েছে, ব্যাপারটা কি নেহায়েতই
কাকতালীয়? নাকি এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশের ‘সুশীল সমাজ’ পার্বত্য
চট্টগ্রাম তথা গোটা দেশে বহু বছর ধরে যে সামরিক স্বৈরশাসন বলবৎ ছিল তাকে মেনে
নিতে, বৈধতা দিতে শুরু করেছে? সকল ‘মননশীল’ পাঠকের প্রতি এই প্রশ্ন রেখে আমি শেষ
করছি [...]। [সমাপ্ত]
আজকের
কিছু উপলব্ধি
[২০ মে
২০১৩]
গতবছর
‘অন্য এক একুশে – লংগদুর ডাক’ শিরোনামে ফেসবুকে একটা নোট পোস্ট করেছিলাম, যেখানে
লংগদু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ঢাকায় মে ১৯৮৯-তে অনুষ্ঠিত পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মৌন
প্রতিবাদ মিছিলের তারিখ উল্লেখ করেছিলাম ২১ মে হিসাবে। আজ উপরের লেখাটা পোস্ট করতে
গিয়ে মনে হচ্ছে আসলে তারিখটা হয়ত ২০শে মেই ছিল। তারিখ যেটাই হোক, দুই যুগ
পূর্তি হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক দিনটির, এবং ২০ বা ২১ মে ১৯৮৯ তারিখকে পাহাড়ি ছাত্র
পরিষদ বা পিসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবেও পালন করা হয়। উল্লেখ্য, সেবার আমার
নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক
পরিসরে ভুলটি সংশোধনের বিশেষ কোন চেষ্টা করি নি। তবে পরবর্তীতে আমি আবিস্কার করি
যে দু’একটি প্রকাশনায় (যেমন ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত প্রদীপ্ত খীসার ‘পার্বত্য
চট্টগ্রাম সমস্যা’ নামের বইতে) পিসিপির একজন অন্যতম ‘প্রতিষ্ঠাতা’ হিসাবে আমার নাম
রয়েছে। মজার ব্যাপার হল, কয়েকদিন আগে যখন কিছু পাহাড়ি তরুণ পিসিপির দুই যুগ পূর্তি
উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার জন্য চাঁদা চাইতে আমার কাছে এসেছিলেন, তখন তাঁরা
কথাপ্রসঙ্গে আমাকে বলেন যে, আমি পিসিপির একজন প্রতিষ্ঠাতা ছিলাম বলেই তাঁরা জানেন।
তাতে মনে হল, এ ব্যাপারে এই প্রজন্মের কাছে আমার নিজের বয়ানটাও আবার তুলে
ধরা দরকার। কিছুটা সে তাগিদ থেকেই এক যুগের আগের লেখার অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরেছি।
পিসিপির
যে তরুণ কর্মীরা আমার কাছে এসেছিলেন, তাঁদের সাথে কথাবার্তা চলার সময় প্রসঙ্গক্রমে
উঠে আসা দু’একটি বিষয়ে আমি অভ্যেসমাফিক আমার মতামত দিতে ছাড়ি নি। বলা বাহুল্য, এ
ধরনের বিষয়গুলির একটি ছিল একই (পিসিপি) নামে দুই বা তিনটি সংগঠন থাকার বিষয়টা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতির বর্তমান বহুধাবিভক্ত বাস্তবতারই প্রতিফলন এটা। আমার
কাছে পিসিপির পরিচয়ে যারাই আসুক, আমি পারতপক্ষে কখনই জানতে চাই না তারা কোন
পক্ষের। তবে বিভক্তিটার ব্যাপারে অনেকের মতই আমারও যে খারাপ লাগে, তা বলতে ভুলি
না। পাশাপাশি আমার একটা ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আবেদন তরুণদের সামনে তুলে ধরি, যদি
মনোযোগী শ্রোতা পাই: তথাকথিত ‘মূল ধারা’র রাজনীতির ভ্রষ্ট পথে আপনারা হাঁটবেন না।
আর আগের প্রজন্মের নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা বা ব্যর্থতা কি ছিল, সেই হিসাব নিকাশেও
যাবেন না। বরং চেষ্টা করলে আপনারা পারেন নূতন পথের সন্ধান দিতে, নূতন স্বপ্নের ছবি
আঁকতে – শুধু পাহাড়ি সমাজের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্যও।
পুনশ্চ:
আমি এখন আর সিগারেট খাই
না। সচেতন প্রয়াসের মাধ্যমে ইচ্ছাশক্তি খাটিয়ে নিকোটিন নির্ভরতা থেকে পুরোপুরি সরে
আসতে পেরেছি বলেই আমার বিশ্বাস। সবাই মিলে চেষ্টা করলে ইতিহাসের রেখে যাওয়া অনেক
সামষ্টিক প্রভাব, বিচ্যুতি বা দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠাও নিশ্চয় অসম্ভব নয়?