সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১
এপ্রিল ২০১৩, সোমবার
আজ ১ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় পার্থ শংকর সাহা ও হরি কিশোর চাকমার তৈরি করা “সরেজমিন পার্বত্য চট্টগ্রাম: অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে বিবদমান দলগুলো” শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। এতে এক অংশে বলা হয়, ‘প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হ্ওয়া ওই তিন জনের মধ্যে দুজন নবগঠিত জনসংহতি সমিতির(জেএসএস-এমএন লারমা) নেতা। অন্যজন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ কর্মী)। এ দুটি দলের অবস্থান পাহাড়ের সবচেয়ে পুরোনো দল জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(পিসিজেএসএস) বিরুদ্ধে।’
রিপোর্টে আরো বলা হয়, “পুলিশ সহ স্থানীয় অন্যান্য সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলগুলো মধ্যে সাম্প্রদিক সময়ে সংঘাত বেড়েছে। পিসিজেএসসের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রতিপক্ষ দুটি দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে।”
আজ ১ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় পার্থ শংকর সাহা ও হরি কিশোর চাকমার তৈরি করা “সরেজমিন পার্বত্য চট্টগ্রাম: অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে বিবদমান দলগুলো” শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। এতে এক অংশে বলা হয়, ‘প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হ্ওয়া ওই তিন জনের মধ্যে দুজন নবগঠিত জনসংহতি সমিতির(জেএসএস-এমএন লারমা) নেতা। অন্যজন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ কর্মী)। এ দুটি দলের অবস্থান পাহাড়ের সবচেয়ে পুরোনো দল জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(পিসিজেএসএস) বিরুদ্ধে।’
রিপোর্টে আরো বলা হয়, “পুলিশ সহ স্থানীয় অন্যান্য সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলগুলো মধ্যে সাম্প্রদিক সময়ে সংঘাত বেড়েছে। পিসিজেএসসের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রতিপক্ষ দুটি দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে।”
রিপোর্টের অপর অংশে বলা
হয়,'মিজোরামে আটক ‘কথিত রবি চাকমার প্রকৃত নাম রূপেন্দু খীসা। তিনি ইউপিডিএফের কর্মী
বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে দলটির খাগড়াছড়ি কমিটির প্রধান রিকো চাকমা
দাবি করেন, রূপেন্দু এক সময় তাঁদের দলের সঙ্গে ছিলেন, এখন আর নেই।’
ইউপিডিএফকে জড়িয়ে প্রথম
আলোর এই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক
যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রথম আলো পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ
করেছে।
আজ সোমবার বেলা দেড়টায়
খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চেঙ্গী
স্কোয়ার, মহাজন পাড়া ঘুরে চেঙ্গী স্কোয়ারে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সেখানে বক্তব্য
রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের
খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা।
বক্তারা প্রথম আলোর উক্ত
প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে
নিয়ে প্রথম আলো ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে প্রথম আলো পার্বত্য
চট্টগ্রামে সেনা শাসন জিইয়ে রাখতে চাইছে। যা গোয়েন্দাগিরি ছাড়া আর কিছুই নয়।
বক্তারা আরো বলেন, প্রথম
আলোর এই রিপোর্টের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতকে আরো উস্কে
দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সন্তু লারমাকে বাঁচাতেই প্রথম আলো এ ধরনের একটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রথম
আলো পত্রিকার কপি পুড়িয়ে দেয়া তারা।
এদিকে, প্রথম আলোর উক্ত
রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে ইউপিডিএফ'র প্রেস সেকশান থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এর তীব্র
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে এ রিপোর্টকে সম্পর্ণ
মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলা হয়, রূপেন্দু চাকমা ইউপিডিএফ'র কোন কর্মী নয়। তিনি
কোন সময় ইউপিডিএফের সাথে যুক্তও ছিলেন না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইউপিডিএফ
একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। পার্বত্য চট্টগ্রামে দু'টো জাতীয় নির্বাচনে ইউপিডিএফ
অংশগ্রহণ করেছে। কাজেই, অস্ত্র সংগ্রহের কাজে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই উঠে
না। ইউপিডিএফের বিরুনদ্ধে সরকারী চক্রান্তের অংশ হিসেবে প্রথম আলো এই প্রতিবেদনটি
তৈরি করেছে।
বিবৃতিতে প্রথম আলো রিপোর্টে
রিকো চাকমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতিবেদকদের সাথে আলাপকালে
রিকো চাকমা ‘রূপেন্দু এক সময় ইউপিডিএফের সঙ্গে ছিলেন, এখন আর নেই’- এ ধরনের কোন কথা
বলেননি। তিনি বলেছেন 'রূপেন্দু চাকমা কোন সময় ইউপিডিএফ-এর সাথে জড়িত ছিল না। তবে চুক্তির
আগে অবিভক্ত পিসিপি আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত এবং একই স্কুলের
ছাত্র ছিলাম। দীর্ঘ দিন ধরে তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই।'
এছাড়া রিপোর্টে রিকো চাকমাকে
খাগড়াছড়ি কমিটি'র প্রধান উল্লেখ করা হয়েছে। যা সঠিক নয়। তিনি আসলে খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিট-এর
একজন সংগঠক।
বিবৃতিতে হলুদ সাংবাদিকতা
পরিহার করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
------------