সিএইচটি নিউজ বাংলা, ৬
মার্চ ২০১৩, বৃধবার
খাগড়াছড়ির রামগড়
উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম পিলাভাঙা গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি প্রাক
প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণে সেনাবাহিনী বাধা প্রদান করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আজ ৬ মার্চ
বুধবার রামগড়ের পশ্চিম পিলাভাঙা গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি প্রাক প্রাথমিক
বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণের কাজ চলছিল। দুপুর আনুমানিক ২:৩০টার দিকে সিন্দুকছড়ি জোনের
লে: রাব্বীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয় নির্মাণে
বাধা দেয়। এ সময় সেনা সদস্যরা সেখান থেকে বিদ্যালয় নির্মাণকারী মিস্ত্রীদের যাবতীয়
সরঞ্জামও(হাত করাত-২টি, মাস্তুল-২টি, রান্দা-১টি, বাতালি-২টি) নিয়ে যায়।
ইউনাইটেড পিপল্স
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর রামগড় উপজেলা ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা এক
বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন,
রামগড়-মাটিরাঙ্গা অঞ্চলে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রায়
সময়ই সেনাবাহিনী অভিযানের নামে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করছে। তারা বন্দুক গুজে দিয়ে
নিরীহ পাহাড়িদের ধরপাকড়, বাড়িঘর তল্লাশি সহ নানাভাবে নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী
রামগড়ের ছোট কালাপানি হেডম্যান পাড়ায় এক বিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে সেনাবাহিনী দেড়
ঘন্টা ধরে বাড়িটি অবরদ্ধ করে রেখেছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে তিনি আরো
বলেন, সরকার নিরক্ষরতা দূরীকরণে শিক্ষার প্রসার ঘটনানোর কথা বললেও রামগড়ের মতো
একটি পশ্চাদপদ এলাকায় বিদ্যালয় নির্মাণে সেনাবাহিনী কেন বাধা প্রদান করছে তা
বোধগম্য নয়। এ বিদ্যালয়টি নির্মাণ করতে না পারলে এ এলাকার ৪০/৫০ জন শিশু শিক্ষা
গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৭
সালের দিকে এলাকাবাসী উক্ত জায়গার উপর একটি প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করলেও
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এটি ভেঙে যায়। এলাকার শিশুদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে
এলাকাবাসী আবারো এ বিদ্যালয়টি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।