শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৩

সরকার দেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ

সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২২ মার্চ ২০১৩, শুক্রবার
ঢাকা : পার্বত্য চট্টগামের তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইম্সে ফেডারেশন-এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন সরকার দেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অতীতের মতো সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার সময় রহস্যজনকভাবে সরকার কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। 

আজ ২২ মার্চ শুক্রবার সকাল এগারটায় ঢাকায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সভাপতি সুমেন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন সহ-সভাপতি নিরিূপা চাকমা। পাহড়ি ছাত্র পরিষদ সাধারণ সম্পাদক থুইক্যসিং মারমা সভা পরিচালনা করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যলঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলা, অগ্নিংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বক্তারা বলেন, আজ থেকে ঠিক ছয় মাস আগে ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে রাংগামাটিতে কলেজ বাসে বসাকে কেন্দ্র করে অতি সাধারণ ও তুচ্ছ একটি ঘটনাকে পুঁজি করে সারা রাংগামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক তান্ডব চালানো হয়। শহরে পাহাড়ি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি ও যানবাহনে পূর্বপরিল্পনামাফিক একযোগে হামলা চলায় উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি সেটলার বাঙালীরা। পাহাড়ি মালিকানাধীন শেভরণ ক্লিনিক ও একাধিক ইলেট্রনিক্স শোরুমসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। উক্ত ঘটনায় নির্বাচিত জনপ্রতিধি ও চিকিসকসহ অনেক পাহাড়ি হতাহত হয়।

একইভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও পরবর্তীতে পটিয়ায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় দুবৃত্তরা। এই সাম্প্রদায়িক আক্রমনে রামুতে প্রায় চার শতাধিক বছরের পুরনো বৌদ্ধ মন্দিরসহ আগুনে পোঁড়ানো হয়। পুড়ে যায় দুর্লভ ও মূল্যবান প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। সর্বশেষ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দির ও প্রতিমা ভাচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
------