রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১১

ইউপিডিএফ-এর এক যুগ পূর্তি সংকলন "নব জাগরণ" প্রকাশিত, আজই কপি সংগ্রহ করুন


সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন:

ফোন: ০৩৭১-৬১৩৩২ মোবাইল: ০১১৯০৩৫৯১৪১

Email. updfcht@yahoo.com

Website: www.updfcht.org

পৃষ্ঠা: ১৮৪৷

দাম: ১৫০ টাকা মাত্র (অফসেট প্রিন্ট)

বিষয়সুচি ও চুম্বক অংশ

প্রবন্ধ

সংগ্রামী ঐতিহ্য ------প্রসিত খীসা
যুগ যুগ ধরে লাঠিপেটা খাওয়া
, বুটের তলায় পিষ্ট বাকরুদ্ধ মানুষ সেদিন 'উজোও উজোও' ধ্বনিতে ফিরে পেয়েছিল শত বছরের প্রতিরোধ লড়াইয়ের সাহস! নিস্তেজ মানুষদের উক্ত ধ্বনি বিদু্যত স্পৃষ্ট করে জাগিয়ে তুলেছিল৷ সাজেকে উক্ত ঘটনার পর 'উজোও উজোও' ধ্বনি আন্দোলনে এক নতুন ব্যঞ্জনা লাভ করেছে৷ আন্দোলনরত জাতির জন্য এ ধরনের ঐক্য ধ্বনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

ইউপিডিএফ : সংগ্রামের এক যুগ----- রবি শংকর চাকমা
অনেক ভুল ভ্রান্তি সত্বেও আমাদের পার্টি ইউপিডিএফ এগিয়ে চলেছে৷ নতুন যুগে নতুন নেতৃত্ব ও সংগ্রামের নতুন কলাকৌশলের প্রয়োজন হয়
; পুরাতন নেতৃত্ব ও কৌশল পুরাতন মুদ্রার মতো অচল হয়ে যায়৷ পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে৷ পুরোনো নেতৃত্ব অচল অকেজো হয়ে পড়েছে৷ অপরদিকে ইউপিডিএফ হলো এই নতুন সময়ের প্রতিনিধি৷ এই পার্টিই এখন জনগণের ভরসা৷ সেজন্য এ পার্টিকে রা করতে হবে, সাহায্য-সমর্থন যোগাতে হবে -- যেভাবে একটা নতুন চারা গাছ পরিচর্যা করা হয়, সার-পানি দেয়া হয় ও অনিষ্টের হাত থেকে রার জন্য ঘেরা দেয়া হয়৷ যেখানে বা যে দেশে পার্টি ও জনগণ এক মন এক প্রাণ হয়ে লড়াই করেছে, সেখানে বা সে দেশে অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে৷


নারী মুক্তি প্রসঙ্গে --------সোনালী চাকমা
আসলে নারীমুক্তি
, নারী স্বাধীনতা শব্দগুলো নিছক বুলি নয়৷ এগুলো কোন বিমূর্ত ধারণাও নয়৷ এ সম্পর্কে আলোচনা কোনো জাতি বা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রোপট থেকে বিযুক্ত করে সম্ভব নয়৷ আবার দেয়ালে চুনকাম করার মত এগুলো জাতি বা রাষ্ট্রের উপর আরোপও করা যায় না৷ সংগ্রাম করেই নারী অধিকার অর্জন করতে হয়৷ নারী মুক্তির এই সংগ্রাম কেবল সামাজিক ও অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক েেত্রও৷

স্মৃতিচারণ

কারাবাসের দিনগুলো ----------সচিব চাকমা
চিটাগাং জেলে একদিন বিকেলে ভাত খেতে বসেছি৷ তরকারী ছিল ডিম৷ আমাকে একজন জিজ্ঞেস করছিল ডিম কোত্থেকে এসেছে
? লোকটার নাম মনে নেই, তবে সে ফটিকছড়ি থেকে, আওয়ামী লীগ করতো৷ তার প্রশ্নের জবাবে আমি বললাম মুরগী ডিম পাড়ে, হাঁস ডিম পাড়ে; আর এখন বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে মুরগী ফার্মে ডিম হয়৷ এটা বলার সাথে সাথে সবাই একজোট হয়ে আমাকে মারতে উদ্যত হয়৷ আওয়ামী লীগের ওই লোকটা তো আমাকে মারার জন্য একেবারে কলার চেপে ধরে৷ কিন্তু আমি তো এমন কিছু বলিনি যে তাদের ধমর্ীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত লাগে৷ তারা আমার ভুল শুধরে দিয়ে বলে ডিম আল্লাহ দিয়েছে৷ তখন জেএমবির একজন সদস্যও ছিল৷ তার নাম রফিক, বাড়ি গাজীপুর৷ এই উত্তেজনার সময়ও রফিক আমার সাথে কোন খারাপ আচরণ করেনি৷ সে শান্তই ছিল৷ ওয়ার্ডের অন্য আসামীরা সারা দিন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে অহেতুক ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকে৷ কিন্তু সেদিন দেখি তারা সবাই তাদের ঝগড়া ভুলে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে গেল৷

আন্দোলনের বিকল্প নেই----------অনিমেষ চাকমা
আমারই আরেক সহকর্মী কচি মিলন৷ ১৭/১৮ বছরের তরুণ৷ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি প্রথমে তাকে রাখতে চাইনি৷ পরে তার মা যোগাযোগ করে আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলেন, 'কচি মিলন জাতির স্বার্থে কাজ করবে৷' এতে তার কোন আপত্তি নেই৷ 'মা হিসেবে অবশ্যই আশীর্বাদ করবো, যাতে সে ভাল ভূমিকা রাখতে পারে৷' দিঘীনালায় কিছু দিন রাখার পর তাকে কাচালং-এর লালুতে পাঠিয়েছিলাম সাংগঠনিক কাজে৷ সেই সময়ে জেএসএস এর সশস্ত্র সদস্যরা আমাদের কমর্ীদের উপর হামলা করতে গেলে কচি মিলন তাদের হাতে ধরা পড়ে৷ তার হাত পা বেঁধে সারা গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তাকে৷ রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ কী ধরনের নিষ্ঠুর, বীভত্‍স ও নৃশংস হতে পারে, সেদিন তারই প্রমাণ দিয়েছিল জেএসএস৷ কচি মিলনের মৃতু্য সংবাদ পেয়ে তার মা আমার সাথে দেখা করে বলেছিলেন, "কচি মিলন নেই, তাতে আমার কোন আপসোস নেই৷ জাতির স্বার্থে সে আজ নিজেকে উত্‍সর্গ করেছে৷ মা হিসেবে আমি গর্ববোধ করছি৷ এক কচি মিলন না থাকলেও হাজারো কচি মিলন পার্টি কমর্ী রয়েছে৷" আজ কয়জন মা আছেন, যারা এভাবে নিজের ছেলেকে জাতির প্রয়োজনে উত্‍সর্গ করতে পারে৷

শরণার্থী জীবন ও রমনার ঘরে ফেরা --------নতুন কুমার চাকমা
ক্রমিক নং অনুসারে ডেকে ডেকে পরিবারের সদস্য সংখ্যা
, বয়স ইত্যাদি মিলিয়ে নিয়ে ওপার থেকে এপারে শরণার্থীদের পাঠানো হচ্ছে এবং এপারে কর্মকর্তারা শরণার্থীদের একে একে বুঝে নিচ্ছেন৷ এমনি এক পর্যায়ে রমনা চাকমা নামে ০৬ (ছয়) বছরের এক মেয়ের ডাক পড়লো৷ অর্থাত্‍ রমনা চাকমা বয়স মাত্র ছয় বছর৷ পরিবারের কর্তা বা প্রধান এবং পরিবারের একমাত্র সদস্য সে-ই৷ বাংলাদেশ কর্তৃপরে অভিযোগ বা আপত্তি এ নিতান্তই ২০ দফা প্যাকেজের আওতায় আর্থিক সুবিধা বেশী পেতেই ৬ বছর বয়সের রমনাকে নিয়ে একটি পরিবার গঠন করা হয়েছে৷ বাংলাদেশ কর্তৃপরে এ পরিবারকে নিয়ে তাই আপত্তি৷ শুরু হলো রমনার পরিবারের খোঁজ নেয়া৷ শরণার্থী শিবিরে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও শরণার্থী নেতৃবর্গ খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন বিস্তারিত তথ্য৷ হঁ্যা, মাত্র ৬ বছরের এই রমনা সত্যিই পরিবারের প্রধান এবং পরিবারের একমাত্র সদস্যও৷ এই ৬ বছরের রমনা পরিবারের প্রধান বা কর্তা হওয়ার কথা নয়৷ এর পিছনে রয়েছে খুবই মর্মান্তিক ঘটনা৷


চট্টগ্রামে পার্টির কার্যক্রম যেভাবে শুরু হল ---------শান্তিদেব চাকমা
আমাদের মধ্যে দু
'একজন "কবিরাজ" খ্যাতি লাভ করেছিলো৷ সহযোদ্ধাদের চিকিত্‍সার জন্য নয় বা ডাক্তারের পরামর্শে নিজের অসুখ সারানোর জন্যও নয়, তারা নিজেদের ত্বকের তথাকথিত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ওষুধ বাটাবাটি করতো, মুখে লাগাতো৷ বিভিন্ন ক্রিমও ব্যবহার করতো৷ সংগঠনের নারী কমর্ীরাও সে রকম করতো না৷ এ নিয়ে আমাদের মধ্যে হাসাহাসিও কম হয় নি৷ এ ব্যাপারে সঞ্চয় চাকমা ছিল অগ্রণী৷ অথচ ছাত্রাবস্থায় জগন্নাথ হলে থাকার সময় তার কথাবার্তা ছিল কী রকম!!! প্রসাধন ব্যবহার তো দুরের কথা, কেউ ইস্ত্রি করা শার্ট পরলে বা নতুন টি-শার্ট গায়ে দিলে মিটিঙে ও আড্ডায় সঞ্চয় তীব্র ভাষায় তাদের তিরস্কার করতো, যা তখনকার কমর্ীরা সবাই জানে৷ কথায় কথায় সাধারণ জুম্মোদের "অঘা" বলতো, পরে তাকেই ছাত্ররা ঐ নামে ডাকতো৷ বাহ্যিক ভাব-ভঙ্গীমায় সে নিজেকে সংগ্রামী হিসেবে জাহির করতে চাইতো৷ অথচ ভিতরে ভিতরে তার ব্যক্তিগত মোহ ও লোভ ছিল প্রবল৷ সে কারণে পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে সে পুরোপুরি বদলে যায়৷

সংগ্রামের সেই দিনগুলো ---------দেবদন্ত ত্রিপুরা
সাংগঠনিক কাজের জন্য আমি বেশীর ভাগ ঘরের বাইরে থাকতাম৷ কোনদিন রাতে বাড়িতে থাকলেও পরদিন খুব সকালে বেরিয়ে যেতাম৷ কোন কোন গ্রামে সহযোদ্ধাদের সাথে মিশে থাকতাম৷ আবার অনেক সময় সারাদিন সংগঠনের কাজ করে রাতে বিহারে কিংবা বিহারের পাশের কোন বাড়িতে ঘুমোতাম৷ বিহারে শ্রদ্ধেয় ভান্তে সকালের সিয়ং (সকালের প্রাতঃরাশ) খাওয়ার পর যা উদ্বৃত থাকতো তা খেয়ে নিতাম৷ কখনো কখনো দুপুরের খাবারও বিহারে হতো৷ তা না হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হতো৷

কারা স্মৃতি ----------রঞ্জন মনি চাকমা
টাকা দিলে সিট পাওয়া যায়
, আর টাকা না দিলে পাওয়া যায় না৷ স্থিরভাবে দাাঁড়িয়ে থাকারও স্থান নেই৷ যেখানে দাঁড়াই, সেখানে কারো না কারোর সিট থাকে৷ কিছুণ দাঁাড়ানোর পর ঐ সিটওয়ালা সরে যেতে বলে৷ আবার অন্যদিকে কিছুণ থাকলে সেও সরে যেতে বলে৷ তবে শুধু আমার একার এ অবস্থা নয়, আমার মত অনেকে এ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে৷ রাত হলে ঘুমাতে যাবার জন্য আমাকে শুতে হত বাথরুমের পাশে৷ ওয়ার্ডের ৩০০ জন আসামী সবাই আমার শরীর ডিঙিয়ে পায়খানা-প্রশ্রাব করতে যায়৷ একজন আসামী যদি দুই বারও প্রশ্রাব করতে যায়, তাহলে আসা-যাওয়া মিলে ১,২০০ বার আমাকে ডিঙিয়ে যায়৷

কাউখালী হত্যাকাণ্ড ও আমরাঃ সংগ্রাম ও দালালি ------------রতন বসু
১৯৯৪ সালের শেষের দিকে আমি কাউখালী সদরে বেড়াতে যাই৷ যেখানে আগে আমাদের বসত ভিটা
, তার পাশে যে বড় বটগাছটা ছিল, তা এখন আর নেই৷ কাউখালী খালে স্নান করার জন্য যে ঘাটটি ছিল, তাও আগের মতো নেই৷ আমাদের বসত ভিটার উপর দিয়ে কাউখালীর টিএন্ডটি রাস্তাটি চলে গেছে৷ আমাদের পাড়ায় একটা টিউবওয়েল ছিল, ঐ টিউবওয়েল থেকে অনবরত পানি পড়তো৷ ছোটবেলায় ঐ টিউবওয়েলটার পাশে সঙ্গীদেরকে নিয়ে আমি কত খেলা করেছি৷ ঐ টিউবওয়েলের পাশে বর্তমানে দু'টো সেটলার পরিবার ঘর-বাড়ি তুলে অবস্থান করছে৷ একজন সেটলার বাঙালি আমাকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে 'তোমার বাড়ি কোথায়? আমি মনের দুঃখে শুধু তাকিয়ে থাকি ঐ সেটলার বাঙালির দিকে৷ মনে মনে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি আর ভাবি, আমার জায়গায় আমারই তো ঐ সেটলার বাঙালিকে প্রশ্ন করার কথা৷

স্রোতের বিপরীতে -----------ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা
শান্তিবাহিনীর হাতে তুলে না দিলেও জেএসএস-এর ছেলেরা আমাকে রাজস্থলী ত্যাগে বাধ্য করে৷ তারা আমাকে গালিগালাজ করলেও আমি স্বাভাবিক আচরণ করি এবং তাদের আন্তরিকভাবে বলি
, ভাই আপনারা তো আমাকে বহু কথাবার্তা শোনালেন, আসুন দোকানে বসি৷ আমি তাদের দোকানে নিয়ে চা-নাস্তা আপ্যায়ন করি এবং বলি আমারও তো কথা আছে৷ এবার তারা সবাই আমার কথা শোনার জন্য আগ্রহী হলো৷ আমি তাদের কাছে ইউপিডিএফ-এর নীতি আদর্শ ব্যাখ্যা করি৷ নতুন পার্টির ইউপিডিএফ-এর কথা শুনে তারা বলতে গেলে সবাই অভিভূত হলো, এতদিন তাদেরকে বিভ্রান্ত করে রাখা হয়েছিল, আমার বুঝতে বাকী রইলো না৷ এবার দেখলাম, তারা আমাকে দাদা সম্বোধন করছে৷ এক ফাঁকে তারা আমাকে এও জানায় যে, 'শান্তিচুক্তি' নিয়ে তাদেরও হতাশা ছিল৷ কিন্তু শান্তিবাহিনী থাকায় তারা জেএসএস করতে বাধ্য হচ্ছিল৷ ইউপিডিএফ-কে তারাও সমর্থন করে৷ শুধু তাই নয়, তারা আমাকে বাস স্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দেয়৷

রণাঙ্গনের সারিতে আমিও একজন----------অলকেশ চাকমা
মাইনীর পাড় ঘেষা নুনছড়ি গ্রামে আমার জন্ম৷ হাঁটু জলের মেইনী, অথৈ জলের মেইনী দেখে দেখে আমার শৈশব ও কৈশোর জীবনের প্রথম ভাগ কেটেছে৷ অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান পরিস্থিতি সেই মেইনীর সাথে আমার বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে৷ স্কুল, কলেজ, য়ু্যনিভার্সিটি ডিঙিয়েছি৷ এ কথা বুঝতে পারি চাকুরী একটা হয়ত জুটানো যেতো৷ কিন্তু আমি ভুলতে পারি না যা আমি শুনেছি৷ আমার বাপ দাদাদের ভিটে বাড়ি ছিল নাকি হাজারীবাগে, আমার বড় দাদা যখন নাইন কি টেনে পড়তেন, তখন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আর্মিরা যেভাবে পিটিয়েছিল, সে কথা আমি ভুলে যাবো কি করে? আমার মনে আছে দাদা ছাড়া পাওয়ার পর বুদ্ধ ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়েছিলাম৷ আমার এ কথাও স্পষ্ট মনে আছে কাশ এইটে পড়ুয়া আমার ইমিডিয়েট বড় ভাইকে এক সাথে দুটো লুঙ্গি কেনার কারণে দিঘীনালা সেনানিবাসে এক সপ্তাহ রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল৷

পার্টি ও আন্দোলনের সাথে আমি একীভূত-----------নিরন চাকমা
সংগঠনের প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সেদিন আমরা বেশ ক
'জন কমর্ী লীছড়ি সদরের শিলাছড়ি বৌদ্ধ বিহারে বসেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আন্দোলন সংগ্রামের জন্য আমাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত উচিয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে৷ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভগবান বুদ্ধ ও শ্রদ্ধেয় ভান্তেকে সাী রেখে আমরা সবাই মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উচিয়ে সেদিন অঙ্গীকার করেছিলাম যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণের প্রকৃত মুক্তির ল্যে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে উত্‍সর্গ করবো৷ এ অঙ্গীকারের কথা আমার এখনো বার বার মনে পড়ে৷ মাঝে মাঝে আমি এ অঙ্গীকারের কথা মনে করেই সাহস সঞ্চার করি৷

..............................

এছাড়া আরো আছে পার্টির গুরুত্বপূর্ণ দলিল, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিনপঞ্জি ও কিছু দুর্লভ ছবি৷ আজই সংগ্রহ করুন৷