রবিবার, ২ জুন, ২০১৩

পাহাড়ে ভুঁইফোঁড় এনজিও নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার

সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২ জুন ২০১৩, রবিবার

ঢাকা: পাহাড়ে ভুঁইফোঁড় বেসরকারি এনজিও নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। গতকাল শনিবার রাজধানীতে পার্বত্যাঞ্চলের খেয়াং জনগোষ্ঠীর জীবন অভিজ্ঞতাবিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম ত্রিপুরা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পাহাড়ের এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি চালাতে একটি 'এনজিও মনিটরিং সেল' খোলা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সেখানে কর্মরত প্রায় ৩০০ এনজিওর ৮০ শতাংশই ভুয়া। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নের কথা বললেও এসব এনজিও বেশির ভাগ অর্থই বেতন-ভাতার পেছনে খরচ করে। আবার অনেক এনজিওর নথিপত্রও ভুয়া।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব আরো জানান, পাহাড়ে জায়গা-জমির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এক দশক আগে ভূমি কমিশন গঠন এবং ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ প্রণয়ন করা হলেও এ পর্যন্ত কমিশন একটি ভূমি বিরোধও নিষ্পত্তি করতে পারেনি।


আঞ্চলিক পরিষদের সুপারিশ মেনে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধন করা হয়েছে। এটি পাস হলে ভূমি কমিশন কার্যকর হবে। তবে এরই মধ্যে পঞ্চম ভূমি কমিশনারের মেয়াদ ফুরিয়েছে। ষষ্ঠ কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খেয়াং গবেষক রঞ্জন দত্ত। সহ-গবেষক হ্লাঅংপ্রু খেয়াং, ক্যসামং খেয়াং, ক্রোজাউ খেয়াং, মেথুই চিং খেয়াং ও হ্লাক্রয়প্রু খেয়াং প্রবন্ধের নানা দিক তুলে ধরেন।

এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশী কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

----