সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২২ মে ২০১৩,
বুধবার
আলী কদম প্রতিনিধি : বান্দরবানের আলীকদমে নিজ কার্যালয়ের প্রকল্প আত্মসাত করার
অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ
রিটনের বিরুদ্ধে। প্রকল্প আত্মসাতের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
উপজেলা চেয়ারম্যান গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র পাঠিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আলীকদম
উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসবাবপত্র না
থাকায় ২০১১-২০১২ অর্থবছরে টিআর বরাদ্দ থেকে ৩.০০ মেট্রিক টনের একটি প্রকল্প গ্রহণ
করা হয়। এ প্রকল্পের নম্বর ২৪।
প্রকল্পেরঅর্থদ্বারা আসবাবপত্র তৈরীর
কথা থাকলেও সমুদয় টাকা ঢুকে গেছে ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রিটনের পকেটে। প্রকল্পের
টাকা কৌশলে আত্মসাত করলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করা হয় ১নং আলীকদম
ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আলী আকবরকে।
ইউপি মেম্বার ও প্রকল্প কমিটি সভাপতি
আলী আকবর বলেন, তার নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও ভাইস চেয়ারম্যান রিটন প্রকল্পের
ডিও বিক্রি করে ফেলায় তার পক্ষে আসবাবপত্র তৈরী করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের টাকা
আত্মসাতের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বলে দাবী করা হয়েছে উপজেলা
চেয়ারম্যানের পত্রে।
অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান নিজের
পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার সাড়ে চারবছর জিন্দাগীতে প্রকল্প আত্মসাত
ও বিচার-আচারের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেলে আগামী নির্বাচনের আগে তার জিব্বা কেটে
ফেলবেন”। তবে নিজ কার্যালয়ের আসবাবপত্র তৈরীর প্রকল্প আত্মসাতের দুর্নীতির বিষয়ে
তিনি মুখ খুলেননি।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে এই ভাইস
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠে। উপজেলার বটতলী
পাড়ার বাসিন্দা আবদুর রহিমের মেয়ে জান্নাত আরা বেগম (২২) গত চলতি বছরের ১৪
ফেব্রুয়ারী পুলিশ সুপার বরাবর নারী নির্যাতন সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা
অভিযোগপত্রে ভাইস চেয়ারম্যান রিটনের বিরুদ্ধে বিচারের নামে ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের
কথা বলা হয়েছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান গত ১৭ ফেব্রুয়ারী তার দপ্তরের স্মারক নং- ১৩
মূলে পুলিশ সুপারের নিকট পত্র লিখেন।
উপজেলা পরিষদের অপর ভাইস চেয়ারম্যান
শিরিনা আক্তার বলেন, গত অর্থবছরে তাদের অফিসে আসবাবপত্র তৈরীর জন্য প্রকল্প গ্রহণ
করা হয়। তবে অদ্যাবধি কোন আসবাবপত্র পাওয়া যায়নি। তিনিও এ প্রকল্পের সমদুয়
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, তার যোগদানের পূর্বে এ প্রকল্প গ্রহণ
করা হয়েছিল। প্রকল্প চূড়ান্তভাবে কাজ করা হয়েছে মর্মে মাস্টাররোল ও অডিট হয়ে
গেছে। এ ঘটনা দুঃখজনক। তবে তিনি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন
বলে জানান।