সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৬ মে ২০১৩,
রবিবার
রাঙামাটি : গত ২৩ মে বৃহষ্পতিবার “দৈনিক প্রথম আলো” পত্রিকার আলোকিত
চট্টগ্রাম ৩ পৃষ্ঠায় ২নং কলামে বাঘাইহাটের আশ্রয়হীন ১৩ বাঙালী পরিবারের শেষ
হচ্ছে বিদ্যালয় বাস ! শিরোনামে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে
মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিষদ চেয়ারম্যান
অতুলাল চাকমা।
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক
প্রতিবাদ বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, পত্রিকায় উল্লেখিত ১৪ মে ২০১৩ইং তারিখে আমার
সাজেক ইউনিয়ন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান হিসাবে আমার সভাপতিত্বে বাঘাইহাট সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থানরত ১৩ বাঙালী সেটেলার পরিবারদের বাঘাইহাট সেনা জোনের
পাশে পরিত্যক্ত আনসার ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোন আলোচনা ও সিদ্ধান্ত
হয়নি। তাই আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভাবে প্রকাশিত সংবাদে আমি সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের
পে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংশোধনের দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য ২০০৮ ও ২০১০ সালের বাঘাইহাট
গঙ্গারামদোরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর সেনা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায়
সেটেলার পরিবারদের বাঘাইহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়। সেই থেকে
তারা বর্তমান পর্যন্ত বিদ্যালয় কে অবস্থান করছেন।
এতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের
লেখাপড়ার যথেষ্ট ব্যাঘাত হচ্ছে। তাই সেটেলারদের বিদ্যালয় ভবন ও সাজেক ইউ,পি থেকে
অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত ১৩ই মার্চ ২০১৩ইং তারিখে পাহাড়ী-বাঙালী ও স্কুলের
ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবক উভয়ে মিলে বাঘাইহাট বাজারে মানববন্ধন করা হয়।
জনগণের এই দাবীর সাথে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও
মেম্বারগণ সম্পূর্ণ একমত। আমরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত সেটেলার
পরিবারদের দ্রুত সাজেক ইউনিয়ন থেকে অন্যত্র তারা যেখান থেকে এসেছে সেখানে সরিয়ে
নেওয়ার জোড় দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায়, আমরা ২০০৮ ও ২০১০ সালের পাহাড়ী-বাঙ্গালী
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি চায় না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।