সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১৮
মে ২০১৩, শনিবার
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সন্তু লারমার ভাড়াটে দুই জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পঞ্চসেন ত্রিপুরার বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার উপর গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। সন্ত্রাসীরা তার বুকের ওপর গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা পঞ্চসেন ত্রিপুরাকে (২৩) গুলি করে হত্যা করেছে সন্তু লারমার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। আজ ১৮ মে শনিবার
দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পঞ্চসেন ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের শুভরঞ্জন হেডম্যান পাড়ার খুকসেন ত্রিপুরার ছেলে। তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
নিহত পঞ্চসেন ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের শুভরঞ্জন হেডম্যান পাড়ার খুকসেন ত্রিপুরার ছেলে। তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সন্তু লারমার ভাড়াটে দুই জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পঞ্চসেন ত্রিপুরার বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার উপর গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। সন্ত্রাসীরা তার বুকের ওপর গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে নতুন কুমার চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা
এক বিবৃতিতে উক্ত হত্যার ঘটনায়
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ
প্রকাশ করে বলেন, আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা ইউপিডিএফ-কে
নির্মূল করার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়ার পর তার নির্দেশে যুব নেতা পঞ্চসেন ত্রিপুরাকে খুন
করা হয়েছে। এভাবে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে নিরস্ত্র অবস্থায় ঘুমন্তু মানুষকে হত্যা করা
কেবল অমানবিকই নয়, এধরনে ঘটনা রীতিমত যুদ্ধাপরাধের সামিল।
বিবৃতিতে তাঁরা আরো বলেন,
পাহাড়ে এক যুগের অধিককাল ধরে চলা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সন্তু লারমার একগুয়েমি ও অসহযোগীতার
কারণে বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি সরকার ও সেনাবহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থনে আঞ্চলিক পরিষদের
চেয়ারম্যান পদটির বিনিময়ে এই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে খুনিদের
গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান। একই
সাথে নেতৃবৃন্দ ভ্রাতৃহত্যার জম্মদাতা আঞ্চলিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে জনগণের অধিকার
আদায়ের সংগ্রামে সামিল হওয়ার জন্য সন্তু লারমার প্রতিও আহ্বান জানান।
পঞ্চসেন ত্রিপুরার লাশ
-------