সিএইচটি নিউজ
বাংলা, ২৯ মার্চ ২০১৩, শুক্রবার
আজ ২৯ মার্চ বিকালে নগরীর প্রেস ক্লাবে মারমা তরুণীকে অপহরণের প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সুকৃতি চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সিমন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার বিজয় চাকমা, শ্রমিক নেতা অর্পন চাকমা ও ভিকটিমের ভাই থিসাঅঙ মারমা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন রিটন চাকমা।
সমাবেশে বক্তাগণ গত ২৭ মার্চ বন্দরনগরীর বায়েজিদ চা বোর্ড এলাকা থেকে সকাল ৭ টার দিকে এক পাহাড়ি মারমা তরুনীকে অপহরণ করা হয বলে অভিযোগ করেন। বক্তারা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সারা দেশে নারীর উপর নানাধরণের নির্যাতন বেড়ে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকরিসূত্রে যারা অবস্থান করেন তাদের অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চাকরিতে যাওয়া আসা করার সময় পাহাড়ি নারীরা রাস্তায় চলাচলের অনেকসময় নানা হয়রানীর শিকার হন। গত এক বছরে পাহাড়ি নারীরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় শ্লীলতাহানীর শিকার হওয়া ছাড়াও ধর্ষণ-খুনেরও শিকার হয়েছেন। এছাড়া বক্তারা সারা দেশের নারীর উপর নানা ধরনের হয়রানী-ধর্ষণ-অত্যাচার-ইভটিজিঙের বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার ভুমিকা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মক্ষেত্র সহ সকল জায়গায় পাহাড়ি নারীর নিরাপত্তার দাবি জানান।
ঘটনাটি জানাজানি হবার পরে এলাকার পাহাড়ি চাকরিজীবিদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেদিন বিকালের দিকে বায়েজীদ থানায় গিয়ে এ বিষয়ে একটি জিডি করা হয়। প্রশাসন থেকে শুরু করে নানা দিক থেকে অপহরনকারীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে অপহরণকারীরা তরুনীটিকে ২৭ তারিখ রাতে ছেড়ে দিতে বা্ধ্য হয়। তবে তরুনীটির কাছে থাকা মোবাইল এবং গলায় পরে থাকা সোনার চেইন অপহরনকারীরা ফেরৎ দেয়নি।
চট্টগ্রাম: গত ২৭ মার্চ
চট্টগামের বায়েজীদ বোস্তামি এলাকা থেকে এক মারমা তরুণীকে অপহরণের সাথে জড়িতদের খুজে
বের করে অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিসহ দেশে সকলক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা
নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেপার্বত্য চট্টগামের তিন পাহাড়ি সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
আজ ২৯ মার্চ বিকালে নগরীর প্রেস ক্লাবে মারমা তরুণীকে অপহরণের প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সুকৃতি চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সিমন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার বিজয় চাকমা, শ্রমিক নেতা অর্পন চাকমা ও ভিকটিমের ভাই থিসাঅঙ মারমা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন রিটন চাকমা।
সমাবেশে বক্তাগণ গত ২৭ মার্চ বন্দরনগরীর বায়েজিদ চা বোর্ড এলাকা থেকে সকাল ৭ টার দিকে এক পাহাড়ি মারমা তরুনীকে অপহরণ করা হয বলে অভিযোগ করেন। বক্তারা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সারা দেশে নারীর উপর নানাধরণের নির্যাতন বেড়ে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকরিসূত্রে যারা অবস্থান করেন তাদের অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চাকরিতে যাওয়া আসা করার সময় পাহাড়ি নারীরা রাস্তায় চলাচলের অনেকসময় নানা হয়রানীর শিকার হন। গত এক বছরে পাহাড়ি নারীরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় শ্লীলতাহানীর শিকার হওয়া ছাড়াও ধর্ষণ-খুনেরও শিকার হয়েছেন। এছাড়া বক্তারা সারা দেশের নারীর উপর নানা ধরনের হয়রানী-ধর্ষণ-অত্যাচার-ইভটিজিঙের বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার ভুমিকা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মক্ষেত্র সহ সকল জায়গায় পাহাড়ি নারীর নিরাপত্তার দাবি জানান।
বক্তারা ওই তরুণীকে
অপহরণকারীরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে অপহরনকারীদের
খূজে বের করে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।
সমাবেশ শেষে
প্রেসক্লাব থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহীদ মিনারের এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সাকলে অপহৃত তরুনীর নাম ঞোহ্রী মারমা(২০)। তরুনীটি বাসা শেরশাহ এলাকার দারোগা বিল্ডিঙ। শেরশাহ এলাকার এশিয়ান গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে । ২৭ মার্চ সকালে সাতটার দিকে বায়েজীদ এলাকায় জন্ডিস অসুখের জন্য ঔষধ আনতে গেলে সেখানে দুই বাঙালি নারীর সহায়তায় এক বাঙালী পুরষ তাকে জোর করে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা তরুনীটির ভাই থিসাঅঙ মারমাকে ০১৭৭৬৩৩৭৫০৪ এই নাম্বার থেকে ফোন করে মেয়েটি তাদের হেফাজতে 'নিরাপদে' রয়েছে বলে জানায়। এবং বিকাল তিনটার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে ফোনে জানায়। এসময় তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে বলে মেয়েটির ভাই থিসাঅঙ জানিয়েছেন। টাকা নিয়ে চকবাজার এলাকায় আসার জন্য বলে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সাকলে অপহৃত তরুনীর নাম ঞোহ্রী মারমা(২০)। তরুনীটি বাসা শেরশাহ এলাকার দারোগা বিল্ডিঙ। শেরশাহ এলাকার এশিয়ান গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে । ২৭ মার্চ সকালে সাতটার দিকে বায়েজীদ এলাকায় জন্ডিস অসুখের জন্য ঔষধ আনতে গেলে সেখানে দুই বাঙালি নারীর সহায়তায় এক বাঙালী পুরষ তাকে জোর করে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা তরুনীটির ভাই থিসাঅঙ মারমাকে ০১৭৭৬৩৩৭৫০৪ এই নাম্বার থেকে ফোন করে মেয়েটি তাদের হেফাজতে 'নিরাপদে' রয়েছে বলে জানায়। এবং বিকাল তিনটার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে ফোনে জানায়। এসময় তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে বলে মেয়েটির ভাই থিসাঅঙ জানিয়েছেন। টাকা নিয়ে চকবাজার এলাকায় আসার জন্য বলে।
ঘটনাটি জানাজানি হবার পরে এলাকার পাহাড়ি চাকরিজীবিদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেদিন বিকালের দিকে বায়েজীদ থানায় গিয়ে এ বিষয়ে একটি জিডি করা হয়। প্রশাসন থেকে শুরু করে নানা দিক থেকে অপহরনকারীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে অপহরণকারীরা তরুনীটিকে ২৭ তারিখ রাতে ছেড়ে দিতে বা্ধ্য হয়। তবে তরুনীটির কাছে থাকা মোবাইল এবং গলায় পরে থাকা সোনার চেইন অপহরনকারীরা ফেরৎ দেয়নি।