সিএইচটি নিউজ বাংলা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২, রবিবার
কক্সবাজারের রামুতে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, বাড়িঘর-দোকানপাট ও বৌদ্ধ বিহার পুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ঢাকায় বিক্ষোভ
প্রদর্শন করেছে। আজ ৩০
সেপ্টেম্বর রবিবার
বিকেল ৫
টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে
ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের
সভাপতি সুমেন চাকমা বক্তব্য দেন। তারা রামুতে সংঘটিত সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা
জানান এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেন।
এর আগে এ ঘটনার
প্রতিবাদে বিকেল ৩টার দিকে প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ১৪টির মত বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের
মানব বন্ধনের
সাথে সংহতি প্রকাশ করে ইউপিডিএফও অংশ নেয়।
মানব বন্ধনে ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ
শুদ্ধানন্দ মহাথেরসহ বেশ ক'জন ব্যক্তি বক্তব্য দেন।
বক্তারা গতকালের রামু
সহিংস ঘটনায় গভীর
উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা গত ২২ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি বসতবাড়ি
ও দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের নিন্দা জানান।
বক্তারা দেশে সংখ্যালঘু
সম্প্রদায় ও
ভিন্ন ভাষা-ভাষী
জাতিসত্তাসমূহের জনগণের
জান-মাল
নিয়ে বেঁচে
থাকার ব্যাপারে
সন্দেহ দেখা দিয়েছে
বলে বক্তারা সংশয় ব্যক্ত
করেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে
রাঙামাটির কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। বিকাল ৪টায়
কুদুকছড়ি বড় মহাপুরম
উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রধান ফটকের
সামনে থেকে
বিক্ষোভ মিছিলটি
শুরু হয়ে
কুদুকছড়ি বাজার
প্রদক্ষিণ করে
আবার বিদ্যালয়
ফটকের সামনে
এসে এক
প্রতিবাদ সমাবেশ
করে। পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদের
রাঙামাটি জেলা
শাখার সাংগঠনিক
সম্পাদক বাবুলু
চাকমা সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন।
রামুতে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের
ওপর হামলা, বৌদ্ধ
বিহার ও
বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের
ঘটনায় নিন্দা
জানিয়ে বাবলু
চাকমা বলেন, যে
অভিযোগে রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও বৌদ্ধ বিহারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে তা
সভ্য সমাজের
জন্য কলঙ্ক।
তিনি
অবিলম্বে হামলাকারীদের
গ্রেফতার ও
শাস্তি,
ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত
ক্ষতিপূরণ এবং
বিধ্বস্ত বিহার
ও বুদ্ধমূর্তি
পুনঃনির্মাণের দাবি
জানান।