সিএইচটি নিউজ বাংলা, ২৯ সেপ্টেম্বর
২০১২, শনিবার
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ধুদুকছড়ায় সন্তু
গ্রুপের সশস্ত্র হামলায় এক ইউপিডিএফ সদস্য পীযূষ কুমার চাকমা (৩৫) ও একনিষ্ট সমর্থক
সুনীতি চাকমা (৪৫) নিহত হয়েছেন।
জানা যায়, 'আজ ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক পৌনে ৮টার সময় আগে থেকে ওঁৎ
পেতে থাকা সন্তু গ্রুপের ৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধুদুকছড়া ব্রিজের পাশের একটি
দোকানে ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় ইউডিএফ সদস্যরা
উক্ত দোকানে অবস্থান করছিলেন। সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে শান্তি টিলা গ্রামের বিচিত্র চাকমার ছেলে সুনীতি চাকমা
(ফরা বাপ) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর পীযূষ কুমার চাকমা
আহত অবস্থায় পাশ্ববর্তী ছড়ায় ঝাঁপ দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলো মিটার দূরে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া
যায়। তার বাড়ি পানছড়ির দক্ষিণ নালকাটা গ্রামে। পিতার নাম সুরেন্দ্র
লাল চাকমা।'
ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক প্রদীপ
চাকমা উক্ত হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, 'সরকারের দালাল সন্তু
লারমা ও তার সশস্ত্র গুণ্ডারা শান্তির ভাষা ঐক্যের ভাষা বোঝে না। তাই জনগণের উচিত এই
নরাধমরা যে ভাষা বোঝে সে ভাষায় জবাব দেয়া।'
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা দিঘীনালা উপজেলার কামক্যা ছড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য বোইথাং খিয়াং (১৮) ও রমেশ চাকমা (১৮) গুলি করে হত্যা করে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সন্তু গ্রুপের হাতে ইউপিডিএফের ৪ কর্মী ও সমর্থক নিহত হলো।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা দিঘীনালা উপজেলার কামক্যা ছড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য বোইথাং খিয়াং (১৮) ও রমেশ চাকমা (১৮) গুলি করে হত্যা করে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সন্তু গ্রুপের হাতে ইউপিডিএফের ৪ কর্মী ও সমর্থক নিহত হলো।