সিএইচটি নিউজ বাংলা, ১২ মে ২০১৩, রবিবার
পার্বত্য চট্টগ্রাম
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক থুইক্য
চিং মারমা আজ ১২ মে রবিবার এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নাম্বারী নামধারী
সন্তু লারমার পালিত সন্ত্রাসীদের কর্তৃক পিসিপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা
জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন,
গত রাত ১২.৩০ টার দিকে পিসিপি'র নেতা-কর্মীরা কর্মীরা সংগঠনের দুই যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
পোষ্টারিং করার জন্য যায়। পোষ্টারিং করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের আসলে
সন্তু লারমার পালিত সন্ত্রাসী অনিল মারমা ও বিমল চাকমার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী
দল দেশীয় অস্ত্রসহ (লোহার রড, কিরিচ) পুলিশের সামনে পরিকল্পিতভাবে পিসিপি নেতা-কর্মীদের
উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে চারজন পিসিপি কর্মী গুরম্নতর আহতসহ ছয়জন আহত হন।
হামলায় গুরম্নতরভাবে আহত হন সিমন চাকমা, রুবেল চাকমা, তরু চাকমা এবং সুশান্ত চাকমা।
এরা সবাই মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। সন্ত্রাসীরা তরুণ চাকমার চোখ খুলে নেয়ার চেষ্টা
চালায়। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নেতৃত্ববৃন্দ আরো বলেন,
সন্তু লারমার পালিত দুই নাম্বারীরা বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে মৃত। তাই তারা কোনদিকে কূল
না পেয়ে ছাত্রলীগের মাস্তানদের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক পিসিপি
কর্মীদের উপর শারীরিকভাবে হামলা চালাচ্ছে। এভাবে হামলা করে প্রকৃত বিপস্নবীদের দমানো
যায় না। আগামী দিনে যে কোন পরিস্থিতির জন্য দায়ভার নিতে হবে বলে নেতৃবৃন্দ হামলাকারীদের
প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
হামলাকারী সন্ত্রাসীদের
মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- অনিল মারমা, নিউসাই মারমা, চাইলা মারমা, বিমল
চাকমা, ধন বিকাশ চাকমা, প্রতীম চাকমা, তুর্য্য তালুকদার, প্রশান্ত চাকমা, রিতেশ চাকমা,
অরুণ বিকাশ চাকমাসহ অনেকে।
একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
এই ধরনের বর্বর হামলা কখনোই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। তাই চিহ্নিত হামলাকারীদের আইনের
আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নেতৃবৃন্দ আহ্বান
জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
-------------